মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে মাদারীপুরে আনা হয়। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে শনিবার সদর মডেল থানায় আলাউদ্দিনের মা রানু বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়, তার ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়েছে। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও পাঁচ থেকে সাত জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ১ এপ্রিল মাদারীপুর সদর উপজেলার শ্রীনাথদী গ্রামের মলফত বেপারীর বাড়িতে প্রবেশ করে প্রতিবেশী ইলিয়াস মোল্লাসহ কয়েকজন। তারা ঘরের আলমিরা ভেঙে স্বর্ণালংকার ও কয়েক লাখ টাকা লুট করে এবং পরে মলফতের ছেলে আলাউদ্দিনকে অপহরণ করে। বাধা দিলে মারধর করা হয় তার স্ত্রী রানু বেগমকে এবং আলাউদ্দিনকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে হামলাকারীরা।
তবে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আলাউদ্দিন জীবিত আছেন এবং আত্মগোপনে ছিলেন। পরে সোমবার রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দুদকের অভিযান, বাগ্বিতণ্ডা শিক্ষা কর্মকর্তা
মামলার আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, ইলিয়াস মোল্লার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের ঘটনায় আলাউদ্দিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এর জেরে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই নাটক সাজানো হয়েছে।
মামলার বাদী রানু বেগম ও আলাউদ্দিনের চাচাতো ভাই রফিক বলেন, ‘ইলিয়াস ও তার লোকজন একাধিকবার আলাউদ্দিনকে মারধর করেছে। তারা পুকুরে বিষ দেয়ার মিথ্যা মামলাও করেছে। এরপর আলাউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং আর ফিরে না আসায় গুম-খুনের মামলা দায়ের করা হয়।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘ভিকটিমকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নিজেই গুম-খুনের নাটক সাজিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’