সোমবার (২ জুন) রাত সোয়া ৮টায় কারাফটকে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান বলেন, মানবিক কারণে কারাফটকে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
স্বজনরা জানান, আসাদুজ্জামানের মা সালেহা বেগম ৮০ বছর বয়সে সোমবার বিকেলে মারা যান৷ তার বড় ছেলে আসাদুজ্জামানের প্যারোলে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছিল৷ কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। তবে কারাফটকে মায়ের মুখ একনজর দেখার সুযোগ দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বোনের জানাজায় আলোচিত সেই জাহাঙ্গীর
তারা আরও জানান, আসাদুজ্জামান রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা৷ তারা সাত ভাই-বোন৷ এর মধ্যে পাঁচ ভাই সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আসাদুজ্জামান কারাগারে, অন্য চার ভাইও আত্মগোপনে। তারাও মায়ের মুখ দেখার সুযোগ পাননি। শুধু এসেছিলেন সালেহা বেগমের তৃতীয় সন্তান আক্তারুজ্জামান। তিনি কোনো রাজনীতিতে জড়াননি।
স্বজনেরা জানান, বিকেলে বাড়ি গিয়ে মৃত মায়ের মুখ দেখেছেন আক্তারুজ্জামান। তবে নিরাপত্তার সংশয়ে তিনিও অংশ নিতে পারেননি মায়ের জানাজায়।
আসাদুজ্জামান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রেফতার হয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন বন্দি তিনি।