পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প শেষ হচ্ছে না কেন?

২ সপ্তাহ আগে
প্রায় তিন দশক কেটে গেলেও পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এখনও কেবলই সপ্ন। কিন্তু বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্লটে একের পর এক গড়ে উঠছে রিসোর্টসহ নানান অননুমোদিত ব্যবসা। সব কিছু জেনেও চুপ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এক রকম মালিক আর কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই চলে এসব রমরমা বাণিজ্য। তাইতো প্রশ্ন উঠছে পকেট ভারি রাখতে ইচ্ছে করেই কি ৭ দফা মেয়াদ বাড়িয়েও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও শেষ হয়নি প্রকল্প?

পূর্বাচল নতুন শহরের ২৮ নম্বর সেক্টরে ৪.৭ একর জমিজ়ুড়ে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট ‘দা স্পট’। আগে থেকে বুকিং দিলে নানা সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব এখানে। যদিও রাজউকের ওয়েবসাইটে থাকা এই সেক্টরের নকশায় এখানে এমন কিছু থাকার কথা নয়।

 

পূর্বাচলের ৩টি ফায়ার স্টেশনের একটি হওয়ার কথা এখানে। তার বদলে আছে ২টি কটেজ আর একটি রেস্টুরেন্ট। রিসোর্ট পরিচালনাকারীদের দাবি, অনুমতি নিয়েই স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। যদিও কাগজপত্র দেখতে বনানী মূল অফিসে যেতে চাইলেই বেঁকে বসেন দ্যা স্পটের অপারেশন ম্যানেজার নোমান খান।

 

আরও পড়ুন: পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ও তার সন্তানদের ৩০ কাঠা জমির দলিল আদালতে দাখিল

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানান, ফায়ার ফাইটার কল্যাণ তহবিলের মতো কোনো এক ট্রাস্টের মাধ্যমেই মিলেছে অনুমতি। যদিও সংস্থাটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল এ ব্যাপারে কোনো উত্তর দেননি। তিনি জানালেন, দ্রুতই সেই রিসোর্ট বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

 

অভিযোগ আছে, এমনই আরও অনেক প্লট কিংবা ফাঁকা জায়গা অননুমোদিতভাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে। আর পকেট ভারি হচ্ছে রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের।

 

এসব অনিয়মের ব্যাপারে উত্তর মেলেনি রাজউকের। প্রকল্প পরিচালক, জনসংযোগ কর্মকর্তা, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ হয়ে রাজউক চেয়ারম্যান দফায় দফায় চেষ্টা করেও মেলেনি কারও সাক্ষাৎ, কেবলই অজুহাতের ফুলঝুড়ি।

 

আরও পড়ুন: অপরাধীদের অভয়ারণ্য পূর্বাচল, নিরাপত্তা নেই দিনেও!

 

জনস্বার্থের জমি ব্যক্তিগত আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার সংবিধানবিরোধী জানিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাদিক হাসান শুভ বলেন, 

জনস্বার্থের জমি ব্যক্তিগত ব্যক্তিগত আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে। এটা বাংলাদেশ সংবিধানের আর্টিকেল ২০ এবং ২১ জনকল্যাণ রাষ্ট্রের দায়িত্ব নীতির পরিপন্থি।

 

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৯৬ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। আর আবাসিক প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে ২৪ হাজার ৫৬০টি। আর ইজারা দলিল হয়েছে সাড়ে ২৩ হাজার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন