পুলিশকে মারপিটে উসকানির অভিযোগে তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা

৪ সপ্তাহ আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত ইসলামী বক্তা ও দাওয়াতি ঈমানী বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত্ তাহেরীর উসকানিতে আখাউড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আখাউড়া নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনের জমিতে ওয়াজ মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।


এ ঘটনার পর আখাউড়া পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাবুল মিয়া বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিন আত্ তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে আখাউড়া মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার নিলাখাদ গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়া (৬০), মোগড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম সামদানী শিবলী (৫০) ও একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রিমন (২১)। ভিডিও চিত্র ও তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতার করেন। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: মাহফিল দ্রুত শেষ করতে বলায় পুলিশের মাথা ফাটালেন তাহেরী ভক্তরা


পুলিশের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করাহয়, শুক্রবার বিকেলে নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনের জমিতে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এসময় বিনা অনুমতিতে ও বিনা নোটিশে চলতে থাকা এ মাহফিলে বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত্ তাহেরী স্টেজে বসে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাঁয়তারা করছিলেন। খবর পেয়ে মোগড়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত পুলিশের বিট অফিসার এসআই আবির আহমেদ ও এসআই মো. বাবুল মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেলা পৌনে ৪টার দিকে সেখানে যায়। পুলিশ দেখা মাত্র গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।


এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘আমার সকল মাহফিলে পুলিশ বাধা দেয়। এই যে এখন আবার পুলিশ এসেছে, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা সুন্নি জনতা কাউকে আর ছাড় দেব না।’ 

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাহেরীর উপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর


এরপরই লাঠিসোটা ও ইট পাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়। এতে এসআই বাবুল মিয়া মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।


ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন জানান, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন