শুক্রবার গাজায় নতুন অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এজন্য সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে উপত্যকা ছেড়ে যেতে সতর্কবার্তা দেয় তেল আবিব।
নেতানিয়াহু একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘প্রচণ্ড লড়াই চলছে, তীব্র এবং বিস্তৃত পরিসরে। আমরা গাজার সমস্ত অংশ নিয়ন্ত্রণ করব।’
আরও পড়ুন:হামলা জোরদার / গাজায় ‘সীমিত পরিমাণে’ ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি ইসরাইলের
যেখানে তিনি গাজায় হামাসের হাতে আটক ৫৮ জন জিম্মিকে মুক্তি এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করার মাধ্যমে ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ অর্জনের প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে গাজায় সীমিত পরিমাণ ত্রাণ সরবরাহের ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুপারিশ এবং আর্ন্তজাতিক চাপের মুখে গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয় এড়াতে অবরোধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় ইসরাইল।
এদিকে, ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার রাতে ৫০ ট্রাক আটা, রান্নার তেল এবং ডাল উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। ইসরাইলি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে নয়টি ট্রাক শিশু খাদ্য নিয়ে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, স্থানীয় চিকিৎসকদের মতে, রাতভর ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গত ২৪ ঘন্টায় গাজা জুড়ে ১৬০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ট্যাঙ্ক-বিরোধী অবস্থান, ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো এবং একটি অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবের প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন:গাজায় আরও দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল
সূত্র: রয়টার্স
]]>