সোমবার (৪ আগস্ট) টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনেন বলা হয়, চলতি সপ্তাহের মন্ত্রিসভায় গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলের অনুমোদন চাইবেন নেতানিয়াহু। যদিও নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভ্যন্তরে স্পষ্ট আপত্তি রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন ইসরাইলি মন্ত্রী জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু ব্যক্তিগত আলোচনায় ‘গাজা দখল’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন—যা গাজায় সেনা অভিযান আরও জোরদার করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। গাজা বিষয়ে এই অবস্থান আগে থেকে আরও কঠোর বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আমরা গাজা পুরোপুরি দখল করতে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা / গাজায় প্রাণঘাতী অপুষ্টির ঝুঁকিতে ৫ বছরের কম বয়সি প্রতিটি শিশু
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জিম্মিদের যেসব এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে, সেখানেও অভিযান চালানো হবে। যদি সেনাপ্রধান এতে সম্মতি না দেন, তাহলে তাকে পদত্যাগ করা উচিত।’
ইসরাইলি সংবাদ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির পুরো গাজা দখল পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন।
বর্তমানে আইডিএফ গাজার প্রায় ৭৫ শতাংশ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাকি এলাকাগুলোও দখলের মাধ্যমে গোটা গাজা উপত্যকা ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধ / নেতানিয়াহুকে থামাতে ট্রাম্পকে ৬০০ ইসরাইলি কর্মকর্তার চিঠি
ইসরাইলের এই পদক্ষেপ গাজার লাখো বেসামরিক নাগরিক ও সেখানে কর্মরত মানবিক সংস্থাগুলোর জন্য কী পরিণতি ডেকে আনবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
আইডিএফ জানিয়েছে, গাজা পুরোপুরি দখল করতে গেলে বহু বছর সময় লাগতে পারে, কারণ সেখানে হামাসের বিস্তৃত অবকাঠামো রয়েছে। পাশাপাশি, সেনা অভিযান জিম্মিদের সরাসরি মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলেও সেনাবাহিনীর আশঙ্কা।
সোমবার নেতানিয়াহু বলেন, তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে সেনাবাহিনীকে গাজা যুদ্ধ নিয়ে পরবর্তী করণীয় জানাবেন। তবে কেউ কেউ মনে করছেন, নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে আপাতত অপেক্ষা করতে বলতেও পারেন, যাতে জিম্মি মুক্তির আলোচনা এগিয়ে নেয়া যায়।
সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল