জানা যায়, ২৫ বছরের মসজিদে ইমামতি জীবন শেষে ৭ বছর ধরে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা করেন দোকানদারি। ভ্রাম্যমাণ এই দোকানে পাওয়া যায় পুরি, সিঙাড়া, আলুর চপ, বেগুনি, পেয়াজু, ছোলা ও মজাদার ঝালমুড়ি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতেও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে এসব খাবার। যার শুরু ৫ টাকা থেকে। প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকার বিক্রি হয় ছোট্ট দোকানে।
কখনও কখনও মাসে কেনাবেচা ছাড়িয়ে যায় দেড় লাখ টাকার ওপরে। বিকেলের পর ভ্রাম্যমাণ এই দোকানে আসতে শুরু করেন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষ। শুরুতে চাহিদা কম থাকলেও আস্তে আস্তে বাড়ে দোকানে আইটেমের পরিধি।
স্থানীয়রা জানান, নির্ভেজাল এই খাবারের চাহিদা থাকায় অনেকেই পরিবার নিয়ে এখানে আসেন খেতে। আবার কেউ কেউ নিয়ে যান বাসায়ও। মুহূর্তেই তৈরি মজাদার খাবারগুলো শেষ হয়ে যায়। টাটকা খাবার স্বল্পদামে কিনে খেতে পেরে খুশি দূর দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: নারী উন্নয়ন প্রকল্প এগিয়ে নিতে সরকার আন্তরিক: সচিব শীষ হায়দার
মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে সড়কের ওপরে ভ্রাম্যমাণ দোকান করেন বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় হাফেজ ক্বারী মুহাম্মদ সুলতান। পরিবারে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে জীবিকার তাগিদে ১৯৯০ সালে জীবনের তাগিদে চলে আসেন মাদারীপুরে।
মাহমুদ হোসাইন নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, বিকেল হলেই এই দোকানে চলে আসি। ৫ টাকা মূল্যে পুরি-সিঙ্গারা পাওয়া যায়। এখানকার ঝালমুড়িও মজাদার। নিজে খাই ও পরিবারের সদস্যের জন্য বাসায় নিয়ে যাই। সাধ্যের মধ্যে কিনে খেতে পেরে খুশি। পথচারী গোলাম কিবরিয়া বলেন, বর্তমান বাজারে ৫ টাকায় এমন খাবার পাওয়া যায় ভাবা কঠিন। সুস্বাদু খাবার খেয়ে তৃপ্তি পেলাম। মনে হলে বাসায় তৈরি এই খাবার।
খোয়াজপুর থেকে আসা শিক্ষার্থী সোহেল আহম্মেদ বলেন, বন্ধুদের নিয়ে প্রায়ই এখানে পুরি-সিঙ্গারা খেতে আসি। সবাই আনন্দ করে খাই। অল্প টাকায় এসব খাবার খেতে পেরে দারুণ খুশি।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে শতবর্ষী বটগাছ কাটার বিষয়ে যা জানা গেল
দোকানি ক্বারী মুহাম্মদ সুলতানের দাবি, বড় ব্যবসার জন্য পুঁজি না থাকায় ভ্রাম্যমাণ দোকান চালিয়ে আয় করছেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় দোকান চালিয়ে সুখেই চলছে সংসার। হয়েছে ভাগ্যের ব্যাপক পরিবর্তণও। সরকারের সহযোগিতা ও আন্তরিকতা থাকলে ব্যবসা বড় করতে চাই।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, দোকানি ক্বারী মুহাম্মদ সুলতান চাইলে সহজ শর্তে যুব উন্নয়ন থেকে ঋণ নিতে পারেন। এজন্য বেশকিছু কাগজপত্রের দরকার। প্রশাসন তাকে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।