শনিবার (১৯ এপ্রিল) মস্কোয় রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। এ সময় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা এক বক্তব্যে পুতিন ৩০ ঘণ্টার ওই অস্ত্রবিরতির ঘোষণা করেন। মূলত খ্রিষ্টানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে ঘিরে একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট।
ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত রুশ বাহিনী মানবিক বিবেচনায় ইউক্রেনে হামলা বন্ধ রাখবে।
তবে পুতিনের এ ঘোষণার তিন ঘণ্টা পরেই কিয়েভের আকাশে বেজে ওঠে সাইরেন। এ ঘোষণার পর পুতিনকে একহাত নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের, কারণ কী?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্টের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ার তিনি জানান, ইস্টারের দিন আকাশে শাহেদ ড্রোন ওড়ে, আর ওদিকে মানবতা নিয়ে নাটক করছেন পুতিন।
ইউক্রেনের নিরাপত্তাবিষয়ক এক কূটনীতিক আল জাজিরাকে জানান, হোয়াইট হাউসের চোখে ভালো হওয়ার জন্যই মস্কো এমন মানবতার নাটক সাজিয়েছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর দাবি, শনিবার রাশিয়া ৮টি মিসাইল ও ৮৭টি ড্রোন ছুড়েছে।
ইউক্রেনের কূটনীতিকদের মতো সাধারণ মানুষও পুতিনের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। খারকিভের জনগণ পুতিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে নিছক কৌতুক হিসেবেই দেখছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ভারতীয় ওষুধের গুদামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ অস্বীকার মস্কোর
এদিকে, সিএনএন এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্ধের নতুন প্রস্তাবে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার হাতেই রাখতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু ক্রিমিয়াসহ দখলকৃত ভূখণ্ডকে রুশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়াকে বিপজ্জনক অর্থাৎ ‘রেড লাইন’ হিসেবে দেখছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ।
এই বিতর্কের মাঝেই বন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। দুই দেশের ২৪৬ জন করে বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, এ নিয়ে রুশ আগ্রাসনের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৫০০-এর বেশি ইউক্রেনীয়কে মুক্ত করা হলো।
]]>