রোববার (২৫ মে) সকালে পুুকরে গিয়ে দেখতে পান মাছগুলো মরে গিয়ে পানিতে ভেসে রয়েছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের আগলাপাড়া গ্রামে।
শনিবার (২৪ মে) দিনগত রাতে প্রতিদিনের মতো পুকুরে মাছের পরিচর্যা শেষে বাড়িতে ফিরে যান মামুন। রোববার সকালে এসে দেখতে পান পুকুরে মাছগুলো মরে পানিতে ভেসে রয়েছে।
তরুণ উদ্যোক্তা মাঝহারুল ইসলাম মামুন জানান, ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। করোনার সময় বাড়িতে চলে আসেন এবং তারপর থেকে মাছ চাষ শুরু করেন। প্রথমে নিজের বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। মাছ চাষে লাভবান হওয়ায় এরপর আরও কয়েকটি পুকুর লিজ নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। এতে যা আয় হচ্ছিল তা দিয়ে ভালোই ছিলেন। হঠাৎ করেই রাতের আধারে পুকুরে দুর্বৃত্তরা বিষ দেওয়ায় তার পুকুরের সব মাছ মারা গেছে। পুকুরে এক লাখ পিস ট্যাংরা, পাঙ্গাস, রুই, কাতলসহ বিভিন্ন মাছ ছিল। প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে থানা থেকে লুট হওয়া সেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে মাছের পরিচর্যা শেষে বাড়িতে চলে যান। এরপর সকালে এসে দেখতে পান পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠেছে। পুকুরের চার পাশ ঘুরে দেখতে গিয়ে দেখেন এক পাশে কেউ পুুকুরে নেছেমে বুঝা যাচ্ছে। সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল, কিন্তু যে জায়গা দিয়ে নেমে পুকুরে বিষ দেওয়া হয়েছে ওই জায়গাটি কলাগাছের আড়ালে থাকায় কাউকেই চিনতে পারেননি।
মামুন বলেন, ‘ধার দেনা করে মাছ চাষ করেছিলাম। ঈদুল আযহায় মাছ বিক্রির ইচ্ছা ছিল, কিন্তু সব শেষ হয়ে গেছে। পুকুরে ট্যাংরা মাছ ছিল ১লাখ পিস, এছাড়া পাঙ্গাস, রুই, কাতল সহ সকল ধরনের মাছ ছিল। মাছগুলো এক থেকে তিন কেজি পর্যন্ত ওজন হয়েছিল। সব মিলিয়ে ১০ লাখ টাকার উপরে খরচ করেছিলাম। এই মাছ ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারতাম। আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমি এখন দেনার টাকা শোধ করবো কিভাবে আবার মাছ চাষ শুরু করবোইবা কীভাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এলাকায় আমার সাথে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। রাতের আধারে পুকুরে বিষ দিয়ে আমার সব শেষ করে দিয়েছে। আমার স্বপ্ন শেষ, আমি সবকিছু সুন্দরভাবে সাজিয়েছিলাম আজ সব শেষ করে দিলো ওরা।’ এঘটনায় মধুখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: এবার কোরবানির হাটে আসবে ২২ মণের ‘রাজাবাবু’
বিষয়টি জানতে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনবে পুলিশ এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় এলাকাবাসীর।