রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন ও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: এজাজ শরীফ (২৭), আক্কাস শরীফ (৫২), সাফায়েত শরীফ (৫২), শেফালী বেগম (৪৫), হেপী বেগম (২৮), লিমা বেগম (২০) এবং দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন এমরান (২৮)। আসামিরা সবাই সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাতে আবুল কালাম শরীফ (৫৫) আসামিদের বাড়ির পাশ দিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা একত্রিত হয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং পিটিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামীসহ দুজনের যাবজ্জীবন
আবুল কালাম শরীফকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই হাকিম শরীফ পরের দিন বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: রান্না ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যায় প্রতিবেশীর যাবজ্জীবন
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ওয়াহিদ হাসান বাবু জানান, সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া এলাকার এক ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় আদালত ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ সময় একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
১১ আসামিদের মধ্যে দুই আসামি শিশু হওয়ায় তাদের শিশু আদালতে পাঠানো হয় এবং একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। এছাড়া এক আসামি মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন। রায় দেয়ার সময় আদালতে দুই আসামি সাফায়েত শরীফ ও হেপী বেগম উপস্থিত ছিলেন।