দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পুরো সড়কে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। এতে সুস্থ মানুষও যাতায়াতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ।
জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী এলাকা শ্রীরামকাঠী পর্যন্ত এই ৮ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে আগে প্রতিদিন শত শত যানবাহনে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতেন। এখন সেই সড়কে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করে না। সাধারণ মানুষ বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করছেন। এতে যেমন সময় বেশি লাগছে, তেমনই বাড়ছে খরচও।
রায়েরকাঠীর বাসিন্দা ফজলু শিকদার বলেন, ‘দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সড়কটির বেহাল দশা। আগে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শতশত যানবাহন চলত। এখন রাস্তায় গাড়ি চলে না বললেই চলে। আমরা শুনেছি, ঠিকাদার রাস্তার কাজ না করেই টাকা তুলে নিয়েছে। এখন তারা পলাতক। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে আছি। আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। আমরা চাই দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হোক।’
আরও পড়ুন: প্রবাসে গিয়ে নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে ফিরেছেন লোকমান, দিশেহারা পরিবার
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিগত সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফতি ইটিসিএল এই কাজের দায়িত্ব পায়। কিন্তু তারা কাজ না করেই পুরো টাকা তুলে নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার এলজিইডির পিরোজপুর অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত দে’র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এ বিষয়ে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, ‘এলজিইডির গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে অনেকগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেও কাজ হয়নি। দুর্নীতির মাধ্যমে ঠিকাদার টাকা তুলে নিয়েছে। এসব প্রকল্প আবার কীভাবে শুরু করা যায়, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পিরোজপুর সদর উপজেলায় প্রায় ৭০০ কিলোমিটার পাকা ও আধাপাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০০ কিলোমিটারই বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য।
]]>