পিএসএলে নাহিদ রানাকে দলে টেনেছে বাবর আজমের দল পেশোয়ার জালমি। রিশাদকে নিয়েছে শাহিন আফ্রিদির লাহোর কালান্দার্স। আর লিটনের ঠিকানা হয়েছে শান মাসুদের নেতৃত্বাধীন করাচি কিংসে।
জাতীয় দলে লিটন দাস এবং রিশাদ হোসেন নাহিদ রানার সিনিয়র হলেও পিএসএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন তিনিই। কারণ ক্যাটাগরির দিকে থেকে বাকি দুজনের চেয়ে এগিয়ে তিনি। টুর্নামেন্টের ড্রাফটে গোল্ড ক্যাটাগরিতে ছিলেন এই পেসার। অন্যদিকে, লিটন এবং রিশাদ দুজনেই ছিলেন সিলভার ক্যাটাগরিতে।
গোল্ড ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ লাখ টাকা। তাই পেশোয়ারে নাহিদের বেতন হতে যাচ্ছে ৬০ লাখ। আর ক্যাটাগরি অনুযায়ী, সিলভারে থাকা লিটন এবং রিশাদের বেতন হবে ২৫ হাজার ডলার বা ৩০ লাখ টাকা।
পিএসএলে ৬০ লাখ টাকা পাওয়া নাহিদের বিপিএলের বেতন অবশ্য কেবল ২৫ লাখ টাকা, যা পিএসএলের বেতনের অর্ধেকেরও কম। লিটন-রিশাদের ক্ষেত্রে অবশ্য দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লিটন-সাকিবদের অভাবে ভুগবে বাংলাদেশ: মরিসনচ
এবারের বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে 'এ' ক্যাটাগরিতে ছিলেন লিটন দাস এবং রিশাদ হোসেন। সেখানে দুজনের বেতন ধরা হয়েছিল ৬০ লাখ করে। এই বেতনেই বিক্রি হয়েছেন দুজনেই। তবে পিএসএলের আসন্ন মৌসুমে খেললে তার অর্ধেক অর্থ পাবেন এই দুই ক্রিকেটার।
লিটন-রিশাদ-নাহিদ ছাড়াও পিএসএলের ড্রাফটে ছিলেন বাংলাদেশের আরও ৩৬ ক্রিকেটার। তবে তাদের কেউই দল পাননি। সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান সর্বোচ্চ (প্লাটিনাম) ক্যাটাগরিতে নাম দিলেও তাদের প্রতি কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি। পিএসএলের আসন্ন আসরের পর্দা উঠবে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে। পরবর্তীতে করাচি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২৯ মে হবে দশম আসরের ফাইনাল।
]]>