মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, আজ ঐকমত্য কমিশনে তিনটি বিষয় ছিল, তার মধ্যে দুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়ে। উচ্চকক্ষে এবং নিম্নকক্ষে কীভাবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত থাকার কারণে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি। তবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট সৃষ্টির ক্ষেত্রে মোটামুটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত, কিন্তু তার গঠন প্রক্রিয়া কী হবে–এ বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের আগের জায়গায়ই রয়েছি। ৩১ দফার ভিত্তিতেই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের জন্য প্রস্তাব করেছিলাম, যেখানে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের বিশিষ্টজন এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিফলন থাকবে।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংশোধনে গণভোটের প্রয়োজন হবে: আলী রীয়াজ
বিএনপির এ নেতা বলেন, ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে কোথাও একমত হওয়া যায়নি। এমনকি দ্বিকক্ষের প্রয়োজন আছে কি না, সেটা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তোলেন।
সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিদ্যমান বিধানে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন হয়। আমরা সংবিধানের প্রস্তাবনা, ৮, ৪৮, ১৪২ অনুচ্ছেদের পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংসদে পাস হওয়ার পরও গণভোটের মাধ্যমে পাস করার প্রস্তাব করেছি, সেটা গৃহীত হয়েছে।’