এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন সুমন হাসান ও চ্যানেল ২৪ এর ক্যামেরাপার্সন শাকিল হাওলাদার পাপ্পু।
এর মধ্যে পাপ্পুর মাথা ফেটে যাওয়ায় তাকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সাংবাদিক সুমন হাসান জানান, বেলস পার্ক এলাকার মহিলা ক্লাব মিলনায়তনে সহকর্মির ছেলের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পরিবার নিয়ে যান। তখন তার শিশু কন্যা ক্লাব সংলগ্ন গ্রীন সিটি পার্কে যাওয়ার বায়না ধরে। কন্যাকে নিয়ে পার্কে প্রবেশের সময় বাঁধা দেয় নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি বেল্লাল গাজী। পার্কের মধ্যে বেল্লাল গাজীর সন্তানরা খেলাধুলা করছে। তাই সেখানে আর কাউকে সে প্রবেশ করতে দিবে না। কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছাত্রদল নেতার সহযোগিরা এসে মব সৃষ্টি করে তাকে ঘিরে ফেলে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ও সাংবাদিক একই গাছের দুটি পাতা: নরসিংদী পুলিশ সুপার
তখন তার কন্যা চিৎকার দিলে চ্যানেল ২৪ এর ক্যামেরাপার্সন পাপ্পু ছুটে আসেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে ছাত্রদল নেতাসহ সহযোগিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তারা দুইজনকে বেধম মারধর শুরু করেন। তাদের মারধরে পাপ্পু পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। নিজেদের রক্ষায় পাশ্ববর্তী মহিলা ক্লাবে গিয়ে আশ্রয় নেন। কিছুক্ষণ পর তৃতীয় দফায় ছাত্রদলের মহানগরের সহ-সভাপতি সোহেলের নেতৃত্বে, সাকিব, রাহাতসহ বেশ কয়েকজন এসে আবার হামলা করে।
বিষয়টি মুঠোফোনে পুলিশকে জানানো হয়। তবে পুলিশ আসার আগেই হামলাকারী ছাত্রদল নেতারা পালিয়ে যায়। তবে হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম দাবি করেন, ঘটনার সত্যতা থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রংপুরে সাংবাদিক তুলে নিয়ে মারধর, দোষীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
অভিযোগের বিষয়ে নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি বেল্লাল গাজী বলেন, আমি নিরাপত্তা প্রহরীকে কথা দিয়েছিলাম আর কেউ পার্কে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই বাঁধা দিয়েছি। এ নিয়ে তর্ক ও হাতাহাতি হয়। এ সময় পড়ে গিয়ে একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।