খামেনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকানরা যেন বুঝে নেয়, যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ তাদের এমন ক্ষতি করবে যা কখনো পূরণ করা যাবে না।’
শনিবার (২১ জুন) ইরানের আঞ্চলিক মিত্র ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধ শুরু করে তাহলে তারা লোহিত সাগর দিয়ে চলা মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালাবে।
এ ধরনের বক্তব্যের পর ধারণা করা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাটি ও নাগরিকরা এখন ‘সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলে ছোড়া ইরানের ‘খাইবার-শেকান’ মিসাইল কতটা শক্তিশালী
ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান চাইলে উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অথবা ঘাঁটিতে আক্রমণ করতে পারে, যা উপসাগর থেকে তেলের প্রবাহ ব্যাহত করতে পারে এবং এতে তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে তাদের সামরিক পদক্ষেপ ‘আপাতত’ শেষ হয়েছে এবং তারা তেহরানের শাসনব্যবস্থা উৎখাত করতে চায় না। অনেকেন মতে, এমন বার্তা হয়তো ইরানকে আরও সংযত প্রতিক্রিয়া জানাতে উৎসাহিত করতে পারে।
আবার মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে এমনভাবে আক্রমণ করা হতে পারে, যাতে উল্লেখযোগ্য হতাহতের ঘটনা না ঘটে। ২০২০ সালে ট্রাম্প ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পসের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেয়ার পর ইরান এই পথই অনুসরণ করেছিল।
আরও পড়ুন: ইরানে মার্কিন হামলা ‘একটি বিপজ্জনক মোড়’, সতর্কবার্তা চীনের
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়ে রেখেছেন, ইরান যদি প্রতিশোধ নেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী সামরিক জবাব দেবে।
এসব মিলিয়ে এখন মধ্যপ্রাচ্যে একটাই আলোচনা- ইরানে মার্কিন হামলা কী এই সংঘাতের সমাপ্তির সূচনা, নাকি যুদ্ধের আরও রক্তাক্ত পর্বের অপেক্ষা।
সূত্র: বিবিসি