যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে এসমাইল বাঘাঈ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা নিশ্চিত, কারণ এগুলোর ওপর একের পর এক হামলা হয়েছে।
বাঘাঈ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই, কারণ এটি একটি প্রযুক্তিগত বিষয়।’ তিনি জানান, ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামলা চালিয়ে ইরানের ফরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য / যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ‘ধ্বংস’ করতে
ইসরাইল ও ইরানের সংঘাতের দশম দিন গত রোববার (২২ জুন) ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। হামলার পর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা ফেলার পরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
তবে কয়েকদিন পর বুধবার (২৫ জুন) মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে পারেনি, মাত্র কয়েক মাসের জন্য এই কর্মসূচি পিছিয়ে দিয়েছে।
]]>