ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা চলাকালে আবারও নতুনভাবে চাপ প্রয়োগ করলো যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সঙ্গে পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যালের অবৈধ বাণিজ্য করার অভিযোগে একাধিক প্রতিষ্ঠানের ওপর বুধবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মাধ্যমে চীনের মতো দেশগুলোতে ইরানের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল রফতানি ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বোচ্চ চাপ কৌশল আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
আরও পড়ুন:লেবাননে হিজবুল্লাহর ‘ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার’ লক্ষ্য করে ইসরাইলের বিমান হামলা
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইরানের সঙ্গে পেট্রোলিয়াম বাণিজ্যে জড়িত থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক এবং ইরান ভিত্তিক সাত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া, তালিকায় দুটি বাহনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
পৃথক এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে শত শত কোটি ডলারের পেট্রোলিয়াম বাণিজ্যে জড়িত চার বিক্রেতা এবং এক ক্রেতাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। চীনসহ সব দেশে ইরানের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে প্রেসিডেন্ট অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও জানানো হয়।
তবে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত ইরানি মিশনের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোমে ইরানি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা মার্কিন কর্মকর্তাদের। শনিবার এই বৈঠকের আগে আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করলো যুক্তরাষ্ট্র।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে উঠে পড়ে লেগেছেন ট্রাম্প। যে কোনো মূল্যে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন ঠেকাতে তিনি নিয়েছেন সর্বোচ্চ চাপ নীতি। তার দাবি, ইরানকে বশে আনার পন্থা কেবল দুটো- হয় বলপ্রয়োগ নইলে চুক্তি করা।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রকে তিন ধাপে পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব ইরানের
পশ্চিমাদের দাবি, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচির আড়ালে অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বৃদ্ধি করেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে তেহরান সবসময় বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য সবসময়ই শান্তিপূর্ণ।
]]>