বয়স হয়েছে ৪০, তবুও তাকে ডাকা হয় জাতীয় দলে। কিন্তু কেন, কোচেস ভয়েসে নিজের লেখা কলামে সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পর্তুগিজ কোচ রবার্তো মার্টিনেজ।
‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো খেলোয়াড়কে নিয়ে যখন কথা বলি, তখন তাকে তিনটি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মূল্যায়ন করি। তার প্রতিভা নিয়ে কোনও তর্ক চলে না, ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা। তার অভিজ্ঞতাও অনন্য, একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৬টি ইউরোয় খেলেছে এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে দুই শতাধিক। কিন্তু যে বিষয় সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে, সেটা হচ্ছে তার নিবেদন।’
আরও পড়ুন: কার্নিভ্যালে গিয়ে সমালোচনার মুখে নেইমার
জাতীয় দলের প্রতি রোনালদোর নিবেদনের ব্যাখ্যায় পর্তুগিজ কোচ বলেছেন, ‘পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করার প্রতি তার যে প্যাশন, সেটা সংক্রামক। এটা গোটা দলকেই অনুপ্রাণিত করে। নামের কারণে তাকে দলে রাখা হয় না, পারফরম্যান্সের কারণেই তাকে দলে রাখা হয়। গত দুই বছরে আমাদের খেলা ২১ ম্যাচে ১৭ গোল করে সে-ই সর্বোচ্চ গোলদাতা।’
নেশনস লিগে ডেনমার্কের বিপক্ষে প্রথম লেগের খেলায় পর্তুগাল মুখোমুখি হবে ২১ মার্চ। ফিরতি লেগে তারা মুখোমুখি হবে ২৪ মার্চ। এরপর সেপ্টেম্বরে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে পর্তুগাল। জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটাও রোনালদোর। এখন পর্যন্ত ২১৭ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৩৫টি।
আরও পড়ুন: নাসরের জয়ে আবারও রোনালদোর গোল
এই বয়সেও নিয়মিত জাতীয় দলে খেলেন রোনালদো। তার পক্ষে দারুণ যুক্তি হতে পারে একটা পরিসংখ্যান। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে রোনালদোর মোট গোলসংখ্যা এখন পর্যন্ত ৯২৭টি। তার মধ্যে বয়স ৩০ হওয়ার আগে তিনি গোল করেছেন ৪৬৪ টি।
চলতি মৌসুমে দারুণ ফর্মে আছেন সিআরসেভেন। সৌদি প্রো লিগেও এবার তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২৩ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ১৮টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচে ২৭ গোল করেছেন তিনি।
]]>