গ্রেফতাররা হলেন- সদর উপজেলার চরঘোষপুর গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে আকাশ সর্দার (২৮) ও একই গ্রামের হেলাল সরদারের ছেলে সাব্বির সর্দার (২৫)।
এ নিয়ে এই হত্যা মামলায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাব-১২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা।
গ্রেফতার দুজনের মধ্যে আকাশ সর্দার ওই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই নম্বর আসামি এবং সাব্বির সর্দার ৪ নম্বর আসামি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সোমবার দুপুরে পাবনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চরঘোষপুর সরদারপাড়া এলাকায় ইসলামি জলসার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় শিমুল মালিথাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত ১১টার দিকে মারা যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেটের ৪ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
নিহত শিমুল মালিথা চরঘোষপুর গ্রামের শাহীন মালিথার ছেলে। তিনি পাবনা জিলা স্কুলের এসএসসি ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ বছর সরকারি শহিদ বুলবুল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, শিমুল হত্যার ঘটনায় তার বাবা শাহীন মালিথা বাদী হয়ে রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ ৬ ডিসেম্বর রাতেই তিনজনকে আটক করে। তারা হলো, চরঘোষপুর সরদারপাড়া গ্রামের মৃত জলিল সরদারের ছেলে খলিল সর্দার (৫৫), একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে শান্ত হোসেন (২৫) ও রহিম উদ্দিনের ছেলে মিঠু হোসেন (৩০)। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।