মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সামনে ঘটনা ঘটলে দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বিষয়টি।
বিষয়টি নিয়ে নানান রকমের মন্তব্য করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন প্রকৃতির ভয়ংকর এই রূপকে ভয় না পেয়ে কে বা কারা ঠাট্টায় মেতে উঠে জায়গাটির নাম দিয়েছে ঠাঁটা চত্বর, যা মোটেও কারো উচিত নয়।
এ বিষয়ে আতিকুর রহমান রাজা নামের এডওয়ার্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'এর আগেও সেখানে দুইটি নারকেল গাছের উপর বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে, গাছ দুটি মারাও গিয়েছে। এবার মেহগনি গাছে বজ্রপাত হয় এবং গাছটি দুই খণ্ড হয়ে যায়। আমাদের প্রাথমিক ধারণা এখানে আল্লাহর গজব নাজিল হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে দ্বিখণ্ডিত মেহগনি গাছ!
তিনি আরও বলেন, ‘সম্ভবত এ কারণেই এই জায়গাটির নাম দিয়েছে ঠাঁটা চত্বর। এছাড়া কলেজে এসে এখানে প্রেমিক-প্রেমিকারা নানান রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এছাড়া নানা রকমের অসামাজিক কাজও করেন সেখানে, এ কারণে সেখানে আল্লাহর গজব পড়েছে। এটা থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা নেয়া উচিত।’
তাইজুল ইসলাম আরিফ নামের একজন বলেন, 'ভয়ংকর একটি বজ্রপাতের সাক্ষী হলাম আমরা। চোখের সামনে বজ্রপাতে একটি গাছ দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। বিষয়টিকে নিয়ে কি আমরা কখনো গভীরভাবে ভেবে দেখেছি। ঘটনাটি কত বড় ভয়ংকর। এই ঘটনা থেকে আমাদের তওবা করে ভালো পথে ফিরে আসা উচিত। কিন্তু সেটি না করে আমরা ঠাট্টার মাধ্যমে জায়গাটির নাম দিয়ে দিলাম ঠাঁটা চত্বর। কে বা কারা এই সাইনবোর্ড টি ঝুলিয়েছেন জানি না। তবে মোটেও উচিত হয়নি এমন কাজ করা।’
সাগর হোসেন রনি নামের এক সচেতন নাগরিক বলেন, 'বজ্রপাতে গাছ দুই খণ্ড হওয়া এলাকাটিকে ঠাঁটা চত্বর নাম দেয়া হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক৷ ন্যূনতম জ্ঞান থাকলে এই কাজ কেউ করতে পারতেন না। যাই হোক, বজ্রপাতে গাছ দুই খণ্ড হওয়ার ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত যে, আমাদের সব সময় ভালোর পথে চলতে হবে। তাছাড়া যে কোনো সময় গাছে বজ্রপাতের মতো নিজের জীবন ও চলে যেতে পারে।’
]]>