সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটের পূর্বপাশ থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফেরির মেইন প্লাটুনের একেবারে কাছ থেকে মাটি ধসে নদীতে পড়ছে। যেভাবে নদী তীর ভাঙছে, তাতে অল্প দিনের মধ্যেই পুরো ফেরিঘাটটিই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'নদীর পশ্চিম পাশে ব্লক দিয়ে রক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আমাদের পূর্ব পাশে কিছুই নেই। বছরের পর বছর ধরে ভাঙছে, কিন্তু এবারের ভাঙনটা বেশি ভয়াবহ। আমাদের আর কিছু দরকার নেই, শুধু নদীর পাড়টা রক্ষা করলেই হয়।'
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙন চললেও এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে পথে বসার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙনের হানায় রাজশাহী বিভাগ, বিপন্ন বসতি ও ফসলি জমি
বিআইডব্লিউটিএ’র নাজিরগঞ্জ ঘাটের পোর্ট অফিসার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালের চুক্তি অনুযায়ী আমাদের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইউএনও ও ডিসি এখনো তা দেননি। ফলে ঘাট উন্নয়ন করতে পারছি না। এই অবস্থায় আমি বাধ্য হয়ে আমার কোটি টাকার পল্টন সরিয়ে নিতে হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ঘাটের দুই পাশের এলাকায় যত্রতত্র ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণেও নদী ভাঙন বেড়েছে। এসব বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন, ‘স্থানীয়দের কিছু আপত্তির কারণে বিআইডব্লিউটিএকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া যায়নি। তবে ভাঙন পরিস্থিতি আমরা সরেজমিনে দেখেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে।’