পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষায় প্ল্যা-কার্ড হাতে দাঁড়িয়ে একদল তরুণ

৪ সপ্তাহ আগে
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড়সংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্ক। কয়েক বছর আগেও ছিল দৃষ্টিনন্দন ও প্রাণবন্ত। তপ্ত দুপুরে গাছের সবুজ ছায়ায় জিরিয়ে নিতেন পথচারীরা। তবে সেই ছোট্ট উদ্যানটি এখন বেহাল। সেখানে এখন ভারী ভারী যন্ত্রের আধিক্য। আশপাশে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। উন্নয়নের নামে বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে ফুসফুসখ্যাত এই পার্ক।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের বলি এই পার্কের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ। কাটা পড়েছে অধিকাংশ গাছ। নেই সবুজ প্রাণ। এমন অবস্থা থেকে পার্কটিকে বাঁচাতে প্ল্যা-কার্ড হাতে রাস্তায় নেমেছে একদল তরুণ।

 

তরুণরা বলছেন, এই প্রকল্প বাতিল করে পার্কই রাখা হোক। সেইসঙ্গে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক।  

 

নগর পরিকল্পনাবিদ ও পরিবেশ আন্দোলনকারীরাও বলছেন, মেগা প্রজেক্টের নাম দিয়ে সবুজ ও উন্মুক্ত স্থানের অভাবে রুদ্ধশ্বাস ঢাকায় এমন ঘটনা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

 

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোলের হার কমানোর প্রস্তাব

 

নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, এই ধরনের প্রকল্প আধুনিক নগর পরিকল্পনার সঙ্গে বেমানান। অথচ এক্সপ্রেসওয়ের জন্য এই নতুন সংযোগ সড়কের চিন্তা, পান্থকুঞ্জ পার্কটি ধ্বংস করেছে।'

 

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহদী আহসান বলেন, ‘ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব শহরে ১৫ শতাংশ সবুজ এলাকা ১০-১২ শতাংশ জলভাগ রাখতে হবে। যেখানে সরকার ৩০ সাল নাগাদ ১৫ শতাংশ এবং ১০ শাতংশে ফিরে যেতে চায়, সেখানে এসব ধ্বংসের কর্মকাণ্ড চলে তাহলে কীভাবে আমরা ফিরে যাব।’ 

 

পান্থকুঞ্জ পার্কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প নামানোর প্রতিবাদে অনেকদিন ধরেই কর্মসূচি পালন করছেন পরিবেশবাদীরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন