যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে বসার পর থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পানামা খালে চীনের হস্তক্ষেপ নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন। গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় পানামা সরকার।
সিদ্ধান্তটি মার্কিন প্রভাবের ফলাফল কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুলেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পানামা সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা ব্যক্ত করেছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই প্রকল্পের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য পানামার ওপর চাপ প্রয়োগ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনেছে বেইজিং।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীন ও পানামার সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা উভয় দেশের জনগণের জন্য ধারাবাহিকভাবে সুফল বয়ে এনেছে। আমরা আশা করি, পানামা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ বিবেচনায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং বাহ্যিক হস্তক্ষেপ দূর করবে।
আরও পড়ুন: চীনের প্রভাব কমাতেই কি পানামা খাল দখলে মরিয়া ট্রাম্প?
এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলে দাবি করেছে চীন। বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশ এরই মধ্যে এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে লাতিন আমেরিকার ২০টিরও বেশি দেশ রয়েছে। পানামার সঙ্গে চীনের এই সহযোগিতা গত কয়েক বছরে দৃশ্যমান অগ্রগতি এনেছে বলে দাবি করেছে বেইজিং।
চীন আশা করছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বৃহত্তর চিত্র ও জনগণের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ বিবেচনায় নেবে পানামা। তবে এই সিদ্ধান্ত আদৌ পরিবর্তন হবে কি না, তা নির্ভর করছে পানামা সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।
চীনা নেতৃত্বাধীন বিশাল অবকাঠামো বিনিয়োগ প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ থেকে সরে যাচ্ছে পানামা। বেইজিংয়ের কথিত প্রভাব রোধে ওয়াশিংটনের হুমকির মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। প্রকল্পটির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য এবং যোগাযোগের উন্নতি।
আরও পড়ুন: পানামা খালে চীনের প্রভাব বন্ধে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
]]>