গত শনিবার (৩ মে) জোহরের নামাজ শেষে মোল্লা বাড়ি মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে নামাজ শেষে আজহার খানের বড় ছেলে আব্দুর রহমানের বিষয়ে মেয়েপক্ষের পরিবার বারেক ফকিরের কাছে জানতে চান। তিনি শান্তভাবে উত্তর দিলেও রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কিল-ঘুষি মারেন। পরে রহমানের ভাই আরিফ লাঠি ও রড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন বারেক ফকিরকে।
সেদিন দুপুরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে রেফার করেন। বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থা আরও অবনতির দিকে গেলে তাকে রোববার (৪ মে) দুপুরের দিকে বাড়িতে পাঠানো হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই বিকেল ৫টার দিকে বারেক ফকির মারা যান।
আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ গেল শ্রমিকের
নিহতের ছেলে সুমন ফকির বলেন, ‘আমার বাবা একজন সৎ ও নিরীহ মানুষ ছিলেন। শুধু একটি বিয়ের প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কারণে রহমান ও তার ভাই আরিফ তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা যেভাবে আক্রমণ করেছে, তা অমানবিক ও পরিকল্পিত। আমরা তাকে হাসপাতালে নিলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না, পথেই তিনি মারা যান। আমি একজন সন্তান হয়ে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যেন এমন মৃত্যু আর কোনো পরিবারকে দেখতে না হয়।’
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালাই। অভিযুক্ত আজহার খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
]]>