সোমবার (২৬ মে) গুজরাটের ভূজে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের রোগ থেকে মুক্ত করতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পাকিস্তানের জনগণকে জিজ্ঞাসা করতে চাই (সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে) তোমরা কী অর্জন করেছ? ভারত এখন চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। তোমরা কোথায়?’
আরও পড়ুন:ভারতের সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত, ইরান সফরে এসে শেহবাজ
মোদি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করো, রুটি খাও। না হলে আমার গুলি তো আছে।’
মোদির এই মন্তব্যের মতো একই ধরনের মন্তব্য করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। যিনি বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানে একটি উন্মুক্ত বিষয়। যা রাষ্ট্র এবং তার সেনাবাহিনী দ্বারা অর্থায়ন, সংগঠিত এবং ব্যবহৃত হয়।’
এর আগে, গুজরাটের দাহোদে এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এ সময় পহেলগাম হামলার প্রতিশোধে পাকিস্তানের অবকাঠামোতে হামলার কথা উল্লেখ করে অপারেশন সিন্দুর নিয়ে মোদি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়। এটি আমাদের ভারতীয় মূল্যবোধ এবং আমাদের হৃদয়ে ধারণ করা গভীর আবেগের প্রতিফলন।’
আরও পড়ুন:কাশ্মীরে নিহত মাদরাসা শিক্ষককে যেভাবে ‘সন্ত্রাসী’ বানিয়ে দিলো ভারতীয় গণমাধ্যম
গত মাসে জম্মু কাশ্মীরের পহেলগামে হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তানের পাল্টা হামলার পর সামরিক সংঘাত শুরু হয় দুই দেশের। ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে পোঁছায় ভারত-পাকিস্তান।
]]>