পাট চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১০

২ দিন আগে
ফরিদপুরে পাট চুরিকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইউসুফ শেখ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে। ওই দিন ইউসুফ শেখের ঘরে থাকা পাট চুরি করে নেয়ার চেষ্টা করে একই গ্রামের মোহাম্মাদ খানের ছেলে মেহেদী খান (১৮)। বিষয়টি টের পেয়ে ইউসুফ শেখ চিৎকার দিলে মেহেদী পালিয়ে যায়। পরের দিন রাতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা হয়।


এর এক সপ্তাহ পর, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে অভিযুক্ত মেহেদী খানের মায়ের সঙ্গে ইউসুফ শেখের পরিবারের সদস্যদের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মেহেদীর বাবা মোহাম্মাদ খানের নেতৃত্বে ইউসুফ শেখের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। এ সময় বাড়িতে থাকা নারীসহ পাঁচজনকে দেশীয় অস্ত্র ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।


আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মোটরসাইকেল-নসিমন সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর


আহতদের মধ্যে রয়েছেন ইউসুফ শেখের ছোট ভাই ইউনুস শেখ (৬৫), তার মেয়ে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিএনসিসি সদস্য সানজিদা শেখ জিমি (২০), আরেক ভাই মোশারফ শেখ (৬২), তার ছেলে সজল শেখ (২০) এবং ভাতিজা স্বাধীন শেখ (১৮)। তারা সবাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ও নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


এদিকে অভিযুক্ত পক্ষের দাবি, তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে। মেহেদী খানের বাবা মোহাম্মাদ খান দাবি করেছেন, সংঘর্ষে তাদের পক্ষেরও ৫ জন আহত হয়েছেন।


অভিযোগে ইউসুফ শেখ উল্লেখ করেন, প্রথমে পাট চুরির চেষ্টা করা হয় এবং পরে সেটিকে কেন্দ্র করেই লিয়াকত খান ও মোহাম্মাদ খানের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।


হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলেজছাত্রী সানজিদা শেখ জিমি বলেন, ‘ঘটনার পর তারা চোরকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চাইলে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি লিয়াকত খান তাকে ছাড়িয়ে নেন। পরে বিকেলে তার দুই চাচাতো ভাইকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করা হয়। এরপর ২০–৩০ জনের একটি দল রামদা নিয়ে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলা চালায়। এ সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করা হয় এবং বাড়ির চারটি ঘর ভাঙচুর করা হয়।’


আরও পড়ুন: মধুপুরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, ক্লিনিক ভাঙচুর


অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ করেছেন লিয়াকত খান। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় তার পক্ষেরও অন্তত ৫ জন আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার দাবি, ইউসুফের ভাতিজা আরাফাতই মেহেদীকে পাট আনতে পাঠিয়েছিল। এছাড়া মেহেদীর মা রহিমা বেগমকে প্রথমে মারধর করা হয়।’


এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগটি এখনো হাতে পাইনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন