পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীকে বহনকারী যানবহরের উপর প্রাণঘাতী বোমা আক্রমণ

৪ সপ্তাহ আগে
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পুলিশ শনিবার জানিয়েছে যে সামরিক বাহিনী ও অসামরিক যানবাহনকে লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত বোমা বিস্ফোরণে অন্তত চার জন নিহত এবং আরও কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন। এই প্রাণঘাতী আক্রমণটি ঘটে স্বল্প জনসংখ্যা অধ্যূষিত  প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ  বেলুচিস্তান প্রদেশের তুরবাত শহরে। এই ঘটনার শিকার অধিকাংশইরা হচ্ছেন  আধা সামরিক বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কোরের সদস্যবৃন্দ । এই বাহিনী পাকিস্তানের সীমান্তগুলিকে  সুরক্ষিত রাখে এবং বিদ্রোহ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্রী রাবিয়া তারিক ইংরেজি পত্রিকা ডনকে এই হতাহতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণী এবং সেখানকার ফুটেজে দেখা গেছে যে একটি যানবহর ওই শহর অীতক্রম করার সময়ে এই বিস্ফোরণটি ঘটে এবং একটি গাড়িতে আগুন  ধরে যায়। ওই এলাকার একজন পুলিশ রোশান বালুচ ফোনে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন  যে রাস্তার পাশে দাঁড় করানো একটি গাড়ির ভেতরে বিস্ফোরক যন্ত্রটি লুকানো ছিল এবং দূর-নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে তাতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।   তিনি বলেন আহত ব্যক্তিদের অনেককেই মারাত্মক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বালুচ লিবারেশান আর্মি নামের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন দ্রুতই এই আক্রমণের দায় স্বীকার করে এবং জোর দিয়ে বলে যে তাদের আত্মঘাতী বোমাবাজদের মধ্যে একজন নেতৃত্ব দিয়েছে। এই দাবি তাত্ক্ষণিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে,  প্রধান মন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই বোমা হামলার নিন্দা করেন এবং যারা এই “ বোমা বিস্ফোরণে শহীদ হয়েছেন”, তাদের পরিবারের প্রতি তাঁর শোক প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের  বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান নিয়মিত ভাবেই আক্রমণের শিকার হয়। এই সব আক্রমণের জন্য দায়ী করা হয় কিংবা নিজেরাই দায় স্বীকার করে বালুচ লিবারেশান আর্মি এবং ছোট ছোট বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি। বিদ্রোহীরা এই বলে তাদের সহিংস অভিযানকে যৌক্তিকতা দেয় যে তারা পাকিস্তান থেকে ওই প্রদেশকে স্বাধীন করতে লড়ছে। পৃথক আরেকটি ঘটনায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, আফগান সীমান্তবর্তী কুররাম জেলার পথে একটি সরকারি যানবহরের উপর বন্দুক দিয়ে আক্রমণ করা হয়। যে চারজন ওই আক্রমণে  আহত হন তাদের মধ্যে ছিলান ওই জেলার ডেপুটি কমিশনারও।   এই ধরণের সহিংসতার কারণে  সাম্প্রতিক মাসগুলিতে সেখানে শত শত লোক প্রাণ হারিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সর্বসাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে কয়েক সপ্তাহ  ধরে কুররামে আসা-যাওয়ার পথ সরকার বন্ধ করে দেয়। এই সপ্তাহে বিবদমান পক্ষগুলির মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি শান্তি চুক্তির কারণে এমন আশা দেখা গিয়েছিল যে ওই জেলায় প্রয়োজনীয়  জিনিষপত্র পাঠানো যাবে কিন্তু শনিবারের বন্দুক যুদ্ধের কারণে ত্রাণ যানবহর থামাতে হয়। আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান ও পাখতুনখোয়ায় গত বছর ধরে জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ফলে ১৬০০ পাকিস্তানি অসামরিক ও সামরিক লোকজন প্রাণ হারিয়েছেন।            
সম্পূর্ণ পড়ুন