চলমান এশিয়া কাপে বল হাতে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি শাহিন। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই তিনি নিষ্প্রভ ছিলেন। ভারতের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে না পারায় সমালোচনার জবাবেই তিনি এমন মন্তব্য করেন। অন্য প্রতিপক্ষদের ভোগালেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে তিনি ম্রিয়মান থাকায় কঠিন সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই ফাস্ট বোলার।
আবুধাবিতে সুপার ফোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শাহিন ২৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করে জিতিয়েছেন দলকে। আমিরাতের স্পিনবান্ধব উইকেটে খেলার পরও গত সাত ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই তিনি অন্তত একটি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি।
নতুন বলে বেশি সুইং না থাকায় ভারতীয় ব্যাটাররা শুরু থেকেই আফ্রিদির বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলেছে এবং তার বোলিংয়ের বৈচিত্রগুলো অন্য দলের ব্যাটারদের তুলনায় ভালোভাবে সামলাতে পেরেছে। তবে এতে তার আত্মবিশ্বাস একটুও কমেনি। ফাইনালে আবার ভারতের বিপক্ষে খেলা হলে কি সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে পারবেন—এমন প্রশ্নে শাহিন বেশ মজা করেই জবাব দেন, 'আপনি কি আমাকে দলে থেকে বাদ দিতে চাইছেন?'
আরও পড়ুন: আমাদের ভাবনায় এখন শুধুই বাংলাদেশ: আফ্রিদি
তিনি যোগ করেন, 'শাহীন আফ্রিদি যদি পাকিস্তানের হয়ে খেলে, তবে প্রয়োজনে জীবনও দিয়ে দেবে।'
ব্যাট হাতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও খেলে আসা আফ্রিদি এরপর সতীর্থ ফাস্ট বোলারদের নিয়ে হওয়া সমালোচনারও জবাব দেন, 'আমার কাজ হলো আমার উপর অর্পিত ভূমিকা পালন করা, সেটা ব্যাটিং হোক বা বোলিং। আমি আহত থাকি বা অসুস্থ—তা কোনো ব্যাপার না। আমার দায়িত্ব হলো দলের মনোবল উঁচু রাখা এবং ভালো পারফর্ম করা। এটা নয় যে আমরা জিতছি না; আমরা জিতেছি, তবে বড় দলের বিপক্ষে জয় পাইনি। আমি মনে করি না আমাদের ফাস্ট বোলাররা সংগ্রাম করছে। টি২০ এমন ফরম্যাট যেখানে ভালো উইকেটে ব্যাটসম্যানরা সহজেই মারতে পারে। তবে আমাদের বোলিংয়ে আরও ভ্যারিয়েশন আনা দরকার, আর আমরা সেটার চেষ্টা করছি।'
এদিকে, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয় পেলেই ফাইনাল নিশ্চিত হবে ভারতের। সে ক্ষেত্রে বাকি একটা স্লটের জন্য লড়বে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। দুই ম্যাচে হেরে গেলেও গাণিতিকভাবে কিছুটা আশা বেঁচে আছে শ্রীলঙ্কারও।