শুক্রবার (২৭ জুন) স্থানীয় সময় সকালে হড়কা বানের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুরা সোয়াত নদীতে নেমে ছবি তুলছিল। এ সময় হঠাৎ উজান থেকে ধেয়ে আসে প্রবল স্রোত। তাতে ভেসে যায় ১৮ জন।
তাদের উদ্ধারে শুরু হয় অভিযান। খবরে বলা হয়েছে, শনিবার বিকেল পর্যন্ত নদী থেকে ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয় আরও ৪ জনকে। বাকিরা এখনও নিখোঁজ।
৮০ জনের একটি দল নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছেন। সোয়াতের মেয়র জানান, আগেই সতর্কতা জারি করা হলেও পাঞ্জাব ও শিয়ালকোট থেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক দলটি নিষেধ অমান্য করে নদীর ধারে চলে যায়।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
এই ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এদিকে হড়কা বানের পর খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার সোয়াত নদীতে বালি ও নুড়ি পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে কোথাও কোথাও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে মহাসড়ক বন্ধ এবং ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস মতে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুম শুরু হবে। তার আগেই চলতি সপ্তাহেই ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। যা সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীনে তেল রফতানিতে নতুন রেকর্ড ইরানের
পাঞ্জাবে বৃষ্টিপাতজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু এবং আরও অন্তত ৩৯ জন আহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার (২৫ জুন) থেকে শুক্রবার (২৭ জুন) পর্যন্ত হতাহতের এসব ঘটনা ঘটেছে।
]]>