পাকিস্তানে অস্ত্রধারীদের হামলায় ১১ সেনা নিহত

১১ ঘন্টা আগে
আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় অস্ত্রধারীদের গুলি ও বোমা হামলায় সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তাসহ ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)।

পাক সেনবাহিনীর আন্তঃসংযোগ দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যরা একটি অভিযান শেষে ফিরছিলেন। এ সময় অতর্কিত হামলায় চালায় বন্দুকধারীরা। এরপর পাল্টা হামলা চালায় পাক সেনারা। এতেটিটিপির ১৯ সদস্য নিহত হয়। নিহত সেনাদের প্রতি শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

 

পাকিস্তানে আবারো অস্ত্রধারীদের হামলায় প্রাণ গেল সেনাসদস্যদের। স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় সেনাবাহিনীর গাড়ি বহর লক্ষ্য করে বন্দুক ও বোমা হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। এতে সেনা কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সদস্য নিহত প্রাণ হারান। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান।

 

পাকিস্তানের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ওরাকজাই জেলার আফগান সীমান্ত এলাকায় আগে থেকেই টিটিপির সন্ত্রাসীরা ওঁত পেতে ছিলো। সামরিক বাহিনীর গাড়িটি কাছাকাছি আসলে ব্যাপকভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে তারা।

 

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে উৎসবের ভিড়ে প্যারাগ্লাইডার হামলা, নিহত ৪০

 

বন্দুক হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই সড়কে পুঁতে রাখা একটি বোমারও বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এতে দুই কর্মকর্তাকে বহনকারী একটি গাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। বাকি সেনা সদস্যদের বহনকারী আরেকটি গাড়িও এসময় হামলার শিকার হয়।

 

এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনবাহিনীর আন্তঃসংযোগ দফতর আই.এস.পি.আর জানিয়েছে, হামলার শিকার সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যরা একটি অভিযান শেষ করে ফিরছিলেন। যে অভিযানে টিটিপির ১৯ জন নিহত হয়। ওই অভিযানের জবাবে সেনা সদস্যদের গাড়ি বহরে হামলা চালায় জঙ্গি গোষ্ঠীটি।

 

জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। সেখানে নিরাপত্তাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসাও করেছেন তিনি। 

 

আরও পড়ুন: প্রতিবেদনে দাবি / যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে পাকিস্তান!

 

গত কয়েকমাস ধরে আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও হামলা বেড়েই চলেছে। ভারতের অর্থ সহায়তায় আফগানিস্তান থেকে হামলাকারীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলে দাবি করে আসছে শাহবাজ সরকার। যদিও এ অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে কাবুল-নয়াদিল্লি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন