রোমাঞ্চে ঠাসা ফাইনালে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। ফারহান ও ফখর জামানের ব্যাটে চড়ে দারুণ শুরু পায় পাকিস্তান। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৮৪ রান। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে আউট হন ফারহান।
সাইম আইয়ুব ১৪ করে আউট হওয়ার পরই ধস নামে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে। পরপর ৫ ওভারে ৭ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১৭তম ওভারে একাই ৩ উইকেট তুলে নেন কুলদীপ যাদব। ২১ রানের ব্যবধানেই পাকিস্তান হারায় ৭ উইকেট। পরের দুই ব্যাটারও ফেরেন দ্রুতই। সব মিলিয়ে ৩৩ রান তুলতেই পরের ৮ ব্যাটারকে হারিয়ে ৫ বল বাকি থাকতে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত। টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ পারফর্ম করা অভিষেক শর্মা ৬ বলে ৫ রান করেই ফিরে যান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমারকে তুলে নেন শাহিন আফ্রিদি। চতুর্থ ওভারে ফাহিম আশরাফের বলে আউট হন শুভমান গিল। ২০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত।
আরও পড়ুন: শাস্ত্রীকে বয়কট পাকিস্তানের, চাইলো নিরপেক্ষ প্রেজেন্টার
এরপর ক্রিজে জুটি বাঁধেন তিলক বর্মা এবং সাঞ্জু স্যামসন। এই দুইজনের কার্যকরী ব্যাটিংয়ের সুবাদে দিশা ফিরে পায় ভারতের ইনিংস। ২১ বলে ২৪ রান করা স্যামসন থেমেছেন দলের ৭৭ রানের মাথাতে। তিলক টিকে ছিলেন। চাপ সামলে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে টেনেছেন দলের ইনিংস। শেষ দিকে তার সঙ্গে যোগ দেন শিভম দুবেও। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগিয়েছে ভারতের ইনিংস। ফিফটি ছুঁয়েছেন তিলক। দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন দুবে।
শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিল ৩০ রান। হারিস রউফের করা ১৮তম ওভার থেকে চলে আসে ১৩ রান। ২ ওভারে দরকার ১৭ রান। সেখান থেকে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম দুই বলে তিলক বর্মা নিয়ে ফেলেন ৮ রান। পরের বলে সিঙ্গেল নেন তিনি। এর পরের বলে চার মেরে দলকে জেতান রিঙ্কু সিং। ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে ভারত। শেষের আগের ওভারের শেষ বলে ২২ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নেন শিভম দুবে। ৫৩ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিলক।
পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। ১টি করে উইকেট তোলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং আবরার আহমেদ।