রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হওয়ার আগে টানা সাত ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়হীন পাকিস্তান, যার মধ্যে শেষ পাঁচ ম্যাচেই হারের মুখ দেখেছে মেন ইন গ্রিনরা। এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথে কোনো দলই টানা পাঁচ ম্যাচের বেশি হারেনি কখনো। ফলে এবারের ম্যাচটিকে ঘিরে পাকিস্তান থাকছে প্রবল চাপের মধ্যে।
ভারতের বিপক্ষে হারের পর ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় পেলেও এই দুই ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটিং দুর্বলতা একাধিকবার ধরা পড়েছে। ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো সহযোগী সদস্য দলও তাদের সমস্যায় ফেলেছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ দেখলে বিসিবি ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি ইশরাকের
ভারতের বিপক্ষে রবিবারের ম্যাচে পাকিস্তান আরও কঠিন অবস্থায় পড়তে পারে, বিশেষত গত সপ্তাহের ম্যাচের পর মাঠের বাইরে নাটকীয়তা তৈরি হওয়ার পর। ক্রিকেটের পারফরম্যান্স যেন আড়ালে চলে গেছে, সব মনোযোগ এখন মাঠের বাইরের বিশৃঙ্খলায়। এদিকে পাকিস্তান ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা একসুরে সমালোচনা করছেন সবুজ জার্সিধারীদের—তাদের মতে, পাকিস্তান দলের মধ্যে মাঠে লড়াই করার মানসিকতা নেই।
ভারতের সাবেক ওপেনার কৃষ্ণামাচারি শ্রীকান্ত কড়া ভাষায় পাকিস্তানের সমালোচনা করেছেন। নিজের ইউটিউব ভিডিওতে তিনি পাকিস্তান দলকে ‘সপ্তম ডিভিশনের দল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে পাকিস্তানকে মূল দলগুলোর সঙ্গে খেলানো উচিত নয়। তাদের সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে খেলতে দিন। পাকিস্তানের জন্য এটিই বড় বিষয় যে, তারা এখনো এত মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টে খেলতে পারছে। পাকিস্তানকে শীর্ষ সাত দল থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলো আর দর্শক টানবে না। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন ইতিহাস। এই পাকিস্তান দল কোনো ভয় জাগাতে পারবে না। চেন্নাই লিগের সপ্তম ডিভিশনের দলও এর চেয়ে ভালো।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে ভারত
শ্রীকান্ত আরও দাবি করেন, মাইক হেসনের অধীনে পাকিস্তান ভুল পথে হাঁটছে। নিউজিল্যান্ড জাতীয় দল ও আইপিএলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) প্রধান কোচ হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করা হেসনকে ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানের কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়।
শ্রীকান্ত বলেন, ‘মাইক হেসন আবার বলবে তারা খুব ভালো দল এবং ভারত ম্যাচে তারা দুর্ভাগা ছিল। কিন্তু হেসনকে কোচ রেখে পাকিস্তান কোথাও যাবে না।’