পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ব্যাপক সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি হামলা

৬ দিন আগে
পাকিস্তানের কয়েকটি সামরিক চৌকিতে আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর হামলার পর দুই দেশের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।

দুই দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার (১২ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার পর সীমান্তে দুই দেশের বাহিনীর সংঘাতে জড়ানোর খবর এল।

 

পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণের জবাবে তারা ‘পূর্ণ শক্তি দিয়ে’ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সীমান্তের ছয়টিরও বেশি স্থানে গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে।

 

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স বলছে, তালেবান বাহিনী তিনটি পাকিস্তানি সীমান্ত চৌকি দখল করার দাবি জানিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে কড়া বার্তা পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফের

 

পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের সেনাবাহিনী বেশ কয়েকটি আফগান চৌকি ধ্বংস করেছে। পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আফগানিস্তানের দিকে গোলা ও বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে। এতে রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে উঠছে।

 

গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের বিমান হামলার অভিযোগ তুলে তালেবান সরকার প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছিল।

 

ইসলামাবাদ বিমান হামলার অভিযোগ স্বীকারও করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি। তবে কাবুলকে আহ্বান জানিয়েছে ‘পাকিস্তানবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন’ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) আশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে।

 

আরও পড়ুন: ভারতের মাটি থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে তালেবান মন্ত্রীর বার্তা

 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, ‘আফগান তালেবান বাহিনী বিনা উসকানিতে পাকিস্তানের একাধিক সীমান্তচৌকিতে হামলা চালালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দেয়।’

 

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় আফগানিস্তানের ‘একাধিক সীমান্তচৌকি ও সশস্ত্র অবস্থানের’ বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারী কামান, ট্যাংকসহ হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে।

 

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজমি বলেছেন, এটি পাকিস্তানের আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘনের জবাবে পাল্টা অভিযান ছিল। তিনি বলেন, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে আক্রমণটি শেষ হয়।

 

তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রতিপক্ষ আবারও আফগানিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, তাহলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আকাশসীমা রক্ষায় প্রস্তুত আছে এবং কঠোর জবাব দেবে।’
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন