পাকিস্তান-আফগানিস্তান উত্তেজনা বন্ধে মধ্যস্থতার প্রস্তাব রাশিয়ার

১৪ ঘন্টা আগে
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ তথ্য জানিয়েছেন।

ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির মারিয়া জাখারোভা জোর দিয়ে বলেন, এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা রাশিয়ার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।


রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং তার ইরানি প্রতিপক্ষ আব্বাস আরাঘচি শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতা করার জন্য টেলিফোনে কথা বলেন। এ সময় কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে পারস্পরিক যুদ্ধবিরতি এবং আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধের চুক্তিকে স্বাগত জানান তারা।

 

আরও পড়ুন:রুশ তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের ভয়াবহ ড্রোন হামলা


জাখারোভা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন এবং সতর্ক করে বলেছেন, তাদের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আরও বলেন যে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়। 

 

এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শন, আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসন এবং উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন পদক্ষেপ এড়াতে আহ্বান জানান।


এর আগে ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান এবং আফগান তালেবান সরকারের মধ্যে দ্বিতীয় দফা আলোচনা কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হওয়ার পর এবং পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে আসার পর এই প্রস্তাব দিলো রাশিয়া। 


এদিকে, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেছেন, পাকিস্তান তার অবস্থানে অটল রয়েছে যে, আফগান ভূখণ্ড থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আফগানিস্তানের।

 

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান বারবার তালেবান কর্তৃপক্ষকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ করেছে, অন্যদিকে কাবুল ইসলামাবাদকে তার আকাশসীমা লঙ্ঘন এবং অযথা চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছে।

 

দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেঙে পড়ায় একে অপরকে দোষারোপ করার ঘটনাও ঘটেছে। 

 

আরও পড়ুন:প্রশিক্ষণের সময় বিধ্বস্ত রুশ যুদ্ধবিমান, ২ পাইলট নিহত 

 

অন্যদিকে, সর্বশেষ রাউন্ডের আলোচনা অচলাবস্থার মধ্যে শেষ হওয়ার সাথে সাথে, উভয় দেশই নিরাপত্তা অচলাবস্থা সমাধানের কাছাকাছি বলে মনে হচ্ছে না। যার ফলে তাদের ভাগ করা সীমান্তে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন