শনিবার (১১ অক্টোবর) গভীর রাতে সীমান্তে আফগানিস্তানের চালানো অভিযানে ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যার ঘোষণার পর মুত্তাকি এ বিবৃতি দেন।
এর আগে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলার জবাবে আফগান বাহিনীর পাল্টা হামলা চালানোর পর সংঘাত শুরু হয়। মুত্তাকির দাবি, আফগান ভূখণ্ড এবং আকাশসীমা বারবার লঙ্ঘনের জবাবে ওই হামলা চালায় তারা।
আরও পড়ুন:সৌদি আরব ও কাতারের হস্তক্ষেপের পর হামলা বন্ধ করা হয়েছে: তালেবান মুখপাত্র
মুত্তাকি বলেন, সীমান্তে সংঘর্ষ সত্ত্বেও, আফগানিস্তান বিশ্বাস করে যে, পাকিস্তানের সরকার এবং জনগণ শান্তিপ্রিয়। পাকিস্তানে কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। যেহেতু আমাদের সীমান্ত রক্ষার কথা এসেছে, তাই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।
মুত্তাকি আরও বলেন, মিত্র কাতার এবং সৌদি আরব তাকে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে। তিনি বলেন যে, সীমান্তের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এবং আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে। এ সময় জোর দিয়ে বলেন, তালেবানরা আফগানিস্তানে শান্তি এনেছে এবং সমগ্র অঞ্চলেও একই অবস্থা চায়।
মুত্তাকি বৃহস্পতিবার ছয় দিনের সফরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন। এই সফরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নেবেন।
চার বছর আগে তালেবানরা দেশটির ক্ষমতা দখল করার পর তিনিই প্রথম উচ্চপদস্থ আফগান মন্ত্রী যিনি ভারত সফর করছেন। দিল্লি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান প্রশাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি।
তার এই সফর এমন এক সময়ে এসেছে যখন নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগের কারণে ভারত ও আফগানিস্তান উভয়েরই পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।
এদিকে, শুক্রবার দিল্লিতে মুত্তাকির প্রথম সংবাদ সম্মেলনে কোনো নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন না বলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিরোধী দল এটিকে অগ্রহণযোগ্য এবং নারীদের প্রতি অপমান বলে অভিহিত করে। তবে মুত্তাকির দ্বিতীয় সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:আফগানিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান
অন্যদিকে, শনিবারের সংঘাতে পাকিস্তানি বাহিনী ২০০ জনেরও বেশি আফগান তালেবান এবং তার সহযোগীকে হত্যার দাবি করেছে।
]]>