পাঁচ দফা দাবিতে খুলনায় ধর্মীয় শিক্ষকদের বিক্ষোভ

টানা পাঁচ মাস ধরে বেতন না পাওয়া, অনিশ্চিত চাকরির ভবিষ্যতের প্রতিবাদে খুলনায় মানববন্ধন করেছেন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকরা।

শনিবার (১৭ মে) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন মসজিদভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষক, কেয়ারটেকার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। কর্মসূচিতে নারী শিক্ষিকারাও যোগ দেন।


আন্দোলনকারীরা বলেন, ৩২ বছর ধরে প্রকল্পটি চলমান থাকলেও শিক্ষকরা এখনো প্রকল্পভিত্তিক অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। দীর্ঘদিন কর্মরত থাকলেও তাদের রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, নিয়মিত বেতন বাড়ানো হয়নি, এমনকি পদোন্নতির কোনো সুযোগও দেওয়া হয়নি।


মানববন্ধন থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষকরা। এর মধ্যে রয়েছে—আউটসোর্সিং বাতিল, রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তি, বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস, পদোন্নতির ব্যবস্থা এবং অবসর, অসুস্থতা বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে এককালীন আর্থিক সহায়তার জন্য তহবিল গঠন।

আরও পড়ুন: খুলনা থেকে যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৯৯৩ সাল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা বছরের পর বছর কাজ করলেও তাদের বেতন কাঠামোতে নিয়মিত কোনো উন্নতি হয়নি। বর্তমানে ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়)’ প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকলেও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।


তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দীর্ঘদিনের এই শিক্ষামূলক উদ্যোগকে আউটসোর্সিংয়ের আওতায় আনার পরিকল্পনা শিক্ষক ও শিক্ষা দুটোকেই বিপন্ন করে তুলবে। কর্মসূচি শেষে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। দাবি আদায় না হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

]]>