রোববার (১৮ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া আখতারের কাছে এসব দাবিসহ একটি স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।
স্মারকলিপিতে ছাত্রদল জানায়, চবি একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে মাত্র ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধা পাচ্ছে। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ অস্বাস্থ্যকর, ব্যয়বহুল ও নিরাপত্তাহীন পরিবেশে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শিক্ষাজীবনও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ছাত্রদলের পক্ষে উপস্থাপিত পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসনের নিশ্চয়তা দিতে দ্রুত নতুন হল নির্মাণ, স্বল্পমেয়াদে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক আবাসন ভাতা চালু, বর্তমানে চালু থাকা হলগুলোর সংস্কার ও ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ছেলেদের নতুন দুই হলের পূর্ণাঙ্গ আসন বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ, আসন বরাদ্দ পাওয়া সত্ত্বেও হলে উঠতে না পারা ও আইসিটি সেলের ত্রুটির কারণে সিট বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সমস্যা দ্রুত সমাধান, প্রশাসনিক দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রশাসনিক সংস্কার নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হাল্ট প্রাইজ’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপদ ও মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ বাস্তবায়নে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করা হয়।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দীন মহসিন বলেন, আমাদের ভাইবোনেরা দীর্ঘদিন ধরে আবাসন সংকটে ভুগছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়টি শতভাগ আবাসিক হওয়ার কথা ছিল। আমরা চাই দ্রুত নতুন হল নির্মাণ হোক এবং ততদিন শিক্ষার্থীদের ভাতা প্রদান করা হোক।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘হলের জায়গা না পেয়ে শিক্ষার্থীরা বাইরের স্যাঁতস্যাঁতে কটেজে বাস করছে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অবমাননাকর। আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।’