শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, হামলার সময় বৈসরন এলাকায় কোনো নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন ছিল না কেন।
এই প্রশ্নে সমর্থন জানিয়েছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আম আদমি পার্টির সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিংসহ অন্য নেতারাও।
জবাবে সরকার পক্ষ জানায়, প্রতি বছর জুন মাসে শুরু হওয়া অমরনাথ যাত্রার আগে সাধারণত বৈসরনে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু এ বছর ২০ এপ্রিল থেকেই স্থানীয় ট্যুর অপারেটররা সেখানে পর্যটক নিয়ে যেতে শুরু করেন, যা প্রশাসনকে অবহিত না করেই করা হয়। ফলে তখনো কোনো নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’, ভারতকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
বৈঠকে বিরোধীরা ভারতের যদি পর্যাপ্ত জলাধার না থাকে, তবে কেন সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জবাবে সরকার পক্ষ জানায়, এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক ফলের জন্য নয়, বরং এটি একটি প্রতীকী ও কৌশলগত পদক্ষেপ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বৈঠকের শুরুতে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। গোয়েন্দা ব্যুরোর পরিচালক তপন ডেকা একটি বিস্তারিত উপস্থাপনায় হামলার সময়রেখা, গোয়েন্দা তথ্য এবং ঘটনার পর নেয়া পদক্ষেপ ব্যাখ্যা করেন।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, এনসিপি-এসপির সুপ্রিয়া সুলে, প্রফুল্ল পটেল, বিজেডির সসমিত পাত্র, শিব সেনার শ্রীকান্ত শিন্দে, আরজেডির প্রেমচাঁদ গুপ্ত, ডিএমকের তিরুচি শিভা এবং সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব প্রমুখ নেতা।