একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ, অন্যদিকে তাইওয়ান প্রণালী ঘিরে দীর্ঘ উত্তেজনা; এর মধ্যেই বিশ্বনেতাদের সামনে একের পর এক আধুনিক অস্ত্রের সমাহার তুলে ধরেছে চীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে জয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমরাস্ত্রের প্রদর্শন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
৮০ বার তোপধ্বনি মধ্য দিয়ে শুরু হয় জমলকালো আয়োজন, যা চলে এক ঘণ্টারও বেশি সময়।
এর আগে অনুষ্ঠানে একে একে যোগ দেন ২৬ দেশের শীর্ষ নেতা। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক ফ্রেমে ধরা দিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেন।
আরও পড়ুন: পুতিন, শি এবং কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: ট্রাম্প
এসময় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বলেন, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সবসময় সরকার ও জনগণের নির্ভরযোগ্য বাহিনী। চীনারা কখনোই যুদ্ধকে কখনোই ভয় পায় না বলেও সতর্ক করেন শি জিনপিং।
তিনি আরও বলেন,
পিপলস লিবারেশন আর্মি সবসময়ই দল ও জনগণের অগাধ আস্থার প্রতীক। সব কর্মকর্তা ও সদস্যদের উচিত নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা, দ্রুত বিশ্বমানের সেনাবাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠা, জাতীয় ঐক্য ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করা।
এরপরই, চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কয়ারে ৭০ মিনিটের মহড়া ও শৈল্পিক কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হয় সর্বাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি। প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয় ডিএফ-৬১ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র, জেএল-৩ সাবমেরিন-লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং হাইপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল ওয়াইজে-২০।
এছাড়া ৯৯বি মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, পিএইচএল-১৬ মাল্টিপল রকেট লঞ্চার এবং নতুন প্রজন্মের লয়্যাল উইংম্যান ড্রোনও নজর কাড়ে। বিশ্লেষকদের মতে, এই মিসাইল ও হাইপারসনিক অস্ত্রগুলো মূলত মার্কিন নৌবাহিনী ও তাইওয়ান প্রণালীতে ওয়াশিংটনের সামরিক উপস্থিতি ঠেকাতে ব্যবহারযোগ্য।
আরও পড়ুন: চীনে কিম জং উনের সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
তবে চীনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র প্রদর্শনী নিয়ে কথা বলতে ভোলেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তুলে বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের অবদান কি মনে রেখেছেন? চীনা জনগণকে শুভেচ্ছাও জানান ট্রাম্প।
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
]]>