পশ্চিম তীরে কূটনৈতিক প্রতিনিধি দলকে লক্ষ্য করে গুলি

২ সপ্তাহ আগে
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে শরণার্থী শিবিরের প্রবেশপথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব ও এশীয় দেশগুলোর একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এ ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

বুধবার (২১ মে) কূটনীতিকরা জেনিনের মানবিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য একটি সরকারী মিশনে ছিলেন। কারণ সেখানে ব্যাপক ইসরাইলি সামরিক আক্রমণের ফলে মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে। 

 

চলমান ইসরাইলি হামলার কারণে গাজায় দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। ইসরাইলি বাহিনী দাবি করেছিল ত্রাণবাহী প্রায় ১০০ ট্রাক উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় সরবরাহ করা যাচ্ছেনা ত্রাণ।

 

আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেই গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডব চলছেই। এতে বেড়েই চলেছে হতাহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা। বুধবার (২১ মে) দিনভর বিমান হামলায় কেঁপে কেঁপে ওঠে গোটা উপত্যকা। এদিন আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত হন।

 

আরও পড়ুন: গাজায় আরও এক ইসরাইলি সেনা নিহত

 

এদিকে পশ্চিম তীরের জেনিনে শরণার্থী শিবিরের প্রবেশপথে একটি বিদেশি কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ৩৫ জন রাষ্ট্রদূত, কনসাল ও কূটনীতিকের প্রতিনিধিদল অবরুদ্ধ ক্যাম্পের কাছে পৌঁছালে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

 

যদিও এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইসরাইলের গুলিবর্ষণকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে মন্তব্য করেছেন ইইউ পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কলাস। এই ঘটনার তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

গুলি ছোড়ার ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইতালিতে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে জর্জিয়া মেলোনি সরকার। এছাড়া এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে ফ্রান্স, কানাডা, জর্ডান, তুরস্ক। যদিও ইসরাইল বলছে, তাদের সেনারা কূটনীতিকদের সরিয়ে দিতে ফাঁকা গুলি চালিয়েছিল।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের বাধায় গাজায় এখনো ত্রাণ বিতরণ শুরু করা যায়নি: জাতিসংঘ

 

গাজা ভূখণ্ড সম্পূর্ণভাবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, চলমান সামরিক অভিযান শেষ হওয়া পর্যন্ত গাজার সব অঞ্চল থাকবে ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে।

 

এ সময় নেতানিয়াহু চলমান যুদ্ধ বন্ধের জন্য কিছু শর্তের কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, উপত্যকা থেকে সংগঠনটির সব নেতার বহিষ্কার এবং গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন