পশুর যত্নে কমতি নেই, তবে দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

১ সপ্তাহে আগে
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত পিরোজপুরের খামারিরা। তবে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় এসব পশুর দাম নিয়ে শঙ্কায় তারা। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, জেলায় পশু লালন পালনে ক্ষতিকারক হরমোন প্রয়োগ প্রায় বন্ধ হয়েছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে পিরোজপুরে পশু হৃষ্টপুষ্ট করছেন খামারিরা। যত্নে কোনো কমতি নেই। ফ্যানের নিচে বাতাসের মধ্যে রাখা হয়েছে পশুগুলোকে। মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে গোসল করিয়ে রাখা হচ্ছে পরিচ্ছন্ন।

 

আর কয়েকদিন পরই কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য নেয়া হবে প্রাণীগুলোকে। ছোট থেকে বড় সব আকারের পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ সব খামারে যেমন রয়েছে ৩ মন ওজনের দেশি গরু, তেমনি রয়েছে দেড় টন ওজনের ফ্রিজিয়ান, শাহী ওয়াল ও ইন্ডিয়ান বোল্ডারের মতো বড় জাতের গরু। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে ঘাস, খড় কুটা, ভুসি খাইয়ে বড় করা এ সব গরু কোনো ইনজেকশন ছাড়াই বড় করা হয়েছে। ফলে এ সব খামারে বড় হওয়া গরুর চাহিদা অনেক।

 

খামারিরা বলছেন, পশুগুলোকে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে গোখাদ্যের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে লালন পালনের খরচ। পশুর দাম কমে গেলে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। পিরোজপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের খামারি ফজলু মিয়া জানান, কোরবানি উপলক্ষে দুইটি গরু প্রস্তুত করেছি। দেশি খাবার খাইয়ে গরুগুলিকে প্রস্তুত করেছি। কোনো রকমের ইঞ্জেকশন অথবা রাসায়নিক খাবার খাওয়ানো হয়নি। আশা করি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।

 

আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ ঘিরে সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র, ঝুঁকিতে খামারিরা

 

জেলার সবচেয়ে বড় খামার রয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী গ্রামের হুমায়ুন কবিরের। তিনি বলেন, কোরবানি উপলক্ষে প্রায় ১০০ গরু প্রস্তুত করেছি। আশা করি ভারত থেকে গরু না আসলে ভালো দামে বিক্রি করতে পারব। গরু লালন পালনে যে পরিমাণ খরচ বেড়েছে তাতে লাভ করা বড়ই কঠিন। এর ভিতরে যদি ভারত থেকে গরু আসে তাহলে খামালিদের মাথায় হাত।

 

তিনি বলেন, খামারে প্রাকৃতিকভাবে গরু মোটাতাজা এবং লালন পালন করা হয়। কোনো ধরনের কেমিক্যাল, রাসায়নিক, ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় না। খামারে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের গরু রয়েছে। এরই মধ্যে দুইটি গরু ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আশা করি বাকিগুলো সামনের দিনে আস্তে আস্তে বিক্রি হবে।

 

প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, জেলায় পশু লালন পালনে ক্ষতিকারক হরমোন প্রয়োগ প্রায় বন্ধ হয়েছে। তারপরও নিয়মিত মনিটরিং চলছে। পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রানা মিয়া বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো উপাদান যাতে পশুর শরীরে প্রয়োজন করা না হয়, সে জন্য মনিটরিং চলছে।

 

প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর পিরোজপুরে কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার পশু। এর বিপরীতে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৪৬ হাজার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন