পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা সংগঠন সংস্কার, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, চাকরিতে বৈষম্য দূরীকরণ এবং হয়রানিমূলক সিদ্ধান্ত বন্ধের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। একাধিকবার কমিটি গঠন ও নানা আশ্বাস সত্ত্বেও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় কোনো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি। উল্টো আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের বদলি, চাকরিচ্যুতি ও বরখাস্তের মতো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দাবি আদায়ে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২-এর প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রোববার থেকে গণছুটিতে যাওয়ার আবেদন জমা দিয়েছেন। কর্মসূচির ফলে বন্ধ হয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো। এতে সাধারণ মানুষসহ দিনমজুর কর্মীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আন্দোলনকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি। বারবার আশ্বাস পেলেও কার্যকর হয়নি কিছুই। দাবি মানা না হলে আমরা কাজে ফিরব না। তবে জনভোগান্তি আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
দিনমজুর উত্তম কুমার জানান, আমরা ওয়ার্কশপে ১৭ জন দিন হাজিরায় কাজ করি। অফিস বন্ধ থাকায় আমাদের আয় বন্ধ। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে গ্রাহকদেরও। আব্দুস সালাম নামে এক গ্রাহক বলেন, কিছু না জানিয়ে আমার মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অফিসে এসে দেখি সবাই ছুটিতে। কারও কাছে কোনো উত্তর নেই।
আরও পড়ুন: পল্লী বিদ্যুতের আন্দোলনে দেশবিরোধী শক্তির ইন্ধন রয়েছে: প্রেস সচিব
আবদুল জলিল নামের আরেক ভুক্তভোগী জানান, নতুন মিটার সংযোগের টাকা জমা দিয়েছি। আজ অফিসে এসে দেখি কেউ নেই। কবে কাজ হবে, কেউ বলতে পারছে না। এভাবে চললে দুর্ভোগ বাড়বে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী হরিন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, 'কিছুটা জনভোগান্তি হয়েছে। আমরা বিকল্প উপায়ে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। মন্ত্রণালয় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছে। বিকালের মধ্যে কোনো নির্দেশনা আসতে পারে।'