রোববার (৭ সপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমস্যা সমাধানে দুটি কমিটি করা হয়েছে। বদলিকৃতদের পূর্বের জায়গায় ফেরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাময়িক বরখাস্তদের পূর্বের পদে ফেরানোরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সময় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে আন্দোলনে দেশবিরোধী শক্তি ইন্ধন দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন প্রেস সচিব।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় গণছুটিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, বিদ্যুৎ বিপর্যয়
তিনি বলেন, কর্মীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে। কর্মবিরতির কোনো প্রয়োজন দেখছে না অন্তর্বর্তী সরকার। আন্দোলনের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহকসেবা ব্যাহত হলে সরকার কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
এরআগে, পল্লী বিদ্যুতের সংস্কার, চাকরি বৈষম্য দূরীকরণ ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ চার দফা দাবিতে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: হিলি কাস্টমসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন
চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় কোম্পানি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং সব চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত (মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক ও পৌষ্য বিলিং সহকারী) কর্মীদের নিয়মিতকরণ, মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল, সব সংযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্ত করা এবং অন্যায়ভাবে বদলি করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করে বাস্তবায়নের করতে হবে।
২. ১৭ আগস্ট, ২০২৫ থেকে অদ্যাবধি হয়রানিমূলকভাবে চাকরিচ্যুত, বরখাস্ত করা ও সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত আদেশ বাতিল করে আগের কর্মস্থলে পদায়ন করতে হবে।
৩. জরুরি সেবায় নিয়োজিত লাইনক্রুদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিকালীন যোগদান করতে না পারা পাঁচজন লাইনক্রুকে আগের কর্মস্থলে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।