জুলাই আন্দোলনের হটস্পট উত্তরা পূর্ব থানা একালায় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে আবার জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। সাবেক ওসি শাহ আলম থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফুসে ওঠেন তারা। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সাবেক ওসিকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে দ্রুত গ্রেফতারের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা।
বিক্ষোভে যোগ দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ। তিনি বলেন, শত শত ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত শাহ আলমকে দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে উত্তরা অচল করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: এবার উত্তরা পূর্ব থানার ওসি প্রত্যাহার
হান্নান মাসুদ বলেন,
থানা হেফাজত থেকে খুনের আসামি পালিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, এটি বাংলা সিনেমা-নাটক। যারা তাকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা না হলে আমরা সবাই মিলে উত্তরায় আবার গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলব।
এ ঘটনায় রেড অ্যালার্ট জারির পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে জানিয়ে ছাত্রদের কাছে সময় চান উত্তরা জোনের ডিসি রওনক জাহান।
আরও পড়ুন: পলাতক ওসি শাহ আলমকে ধরতে রেড অ্যালার্ট
তিনি বলেন,
প্রাথমিকভাবে যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তাকে বরখাস্ত করেছি। পুরো ঘটনায় কার কার গাফিলতি ছিল, সেটার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। সেটা হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
শাহ আলম পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি তিনি।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করে উত্তরা পূর্ব থানায় আনার পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পালিয়ে যান শাহ আলম। এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এক এএসআইকে। উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিবউল্লাহকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
]]>