জানা গেছে, মঙ্গলবার (৬ মে) উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ১৭২নং খাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানদা চাঁদ উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ইংরেজি বিষয়ে চতুর্থ শ্রেণির প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে তার অফিসের টেবিলে রাখে। এই প্রশ্ন দেখার কথা বলে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ মোবাইলে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। এই পোস্ট মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়।
উপজেলার কান্দি গ্রামের সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ প্রশ্ন মোবাইলে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। এই প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্নের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া তার মোটেও ঠিক হয়নি। তদন্তপূর্বক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
১৭২নং খাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানদা চাঁদ বলেন, মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ইংরেজি বিষয়ে চতুর্থ শ্রেণির প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে আমার অফিসের টেবিলে রাখি। এই টেবিল থেকে প্রশ্নপত্র দেখার কথা বলে আমার অজান্তে সহকারী শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ মোবাইলে ফোনে প্রশ্নের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। বুধবার (৭ মে) যথারীতি পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর অনেকে ফেসবুকে প্রশ্ন দেখে আমাকে জানায়। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: অসদুপায় অবলম্বনে ৮ এসএসসি পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, তিন শিক্ষককে অব্যাহতি
সহকারী শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ বলেন, মোবাইলে প্রশ্নের ছবি তোলার পর ভুলবশত এটি আমার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট হয়ে যায়। বিষয়টি আমি জানার পরে ফেসবুক থেকে প্রশ্নপত্রটি ডিলেট করে দিয়েছি।
কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। ফেসবুকে প্রশ্ন পোস্ট করার বিষয়টি জানার পর চতুর্থ শ্রেণীর ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে সহকারীর সিনিয়র উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিমাংশু বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।