‘পরিবারকে মুক্ত করে দিলাম’ জানিয়ে ফেসবুক লাইভে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

৩ সপ্তাহ আগে
বগুড়ার ধুনটে ‘পরিবারকে মুক্ত করে দেয়ার কথা’ উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) লাইভে এসে বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ১০টায় ধুনট পৌর শহরের দক্ষিণ অফিসারপাড়া এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে তিনি বিষাক্ত গ্যাসের ট্যাবলেট সেবনে আত্মহত্যা করেন।


ওই ব্যবসায়ীর নাম রাসেল আহম্মদ (২৫)। তার বাবার নাম আবু তাহের ওরফে সোনা উদ্দিন। ধুনট শহরের স্কুল মার্কেটে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি পৌর এলাকার পশ্চিম ভরণশাহী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। দক্ষিণ অফিসারপাড়ার ওই বাসায় তিনি ভাড়া থাকতেন। ‘আত্মহত্যা’র সময় তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাসেল আহম্মেদ শহরের প্রথম সারির একজন ব্যবসায়ী। সুখেই চলছিল তার সংসার জীবন। ব্যবসায়িক কাজে চলতি মাসের প্রথম দিকে মালয়েশিয়ায় যান তিনি। সেখান থেকে ১৫ মে নিজ বাসায় ফেরেন। মূলত মালয়েশিয়া থেকে বাসায় ফেরার পরই পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তিনি চরম হতাশায় পড়েন।


আরও পড়ুন: লাইভে এসে স্বামীর আত্মহত্যা, ৪৪ মিনিট ধরে দেখেন স্ত্রী-শাশুড়ি!


এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সকাল ১০টার দিকে ভাড়াবাড়িতে ফিরে যান। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে রাসেল আহম্মেদ নামে নিজের ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে কষ্টের কথা বলেন।


তিনি টানা ৫৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড ফেসবুক লাইভে ছিলেন। পরিবারকে মুক্ত করে দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন ফেসবুক লাইভে। লাইভে কথা বলার মাঝেই তিনি পর পর দুটি বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অচেতন হয়ে পড়েন।


আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলা: ফেসবুক লাইভে ঘটনার বর্ণনা দিলেন সমন্বয়ক ইব্রাহিম


এ সময় ফেসবুকে লাইভ দেখে তার আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে বের করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টায় তার মৃত্যু হয়। রাসেল আহম্মেদের আত্মহত্যার ঘটনার ভিডিও দ্রুত ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।


বগুড়া ধুনট থানার এসআই অমিত হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর রাসেল আহম্মেদের মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন