ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার অনুমোদনের পর রোববার (২২ জুন) দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে।
প্রেস টিভির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী তেল ও গ্যাসের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ যে প্রণালী দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই প্রণালীটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কো রুবিও ফক্স নিউজে বলেন, ‘আমি বেইজিংয়ে চীনা সরকারকে বলবো, তারা যেন এ বিষয়ে ইরানকে ফোন করে, কারণ চীন এই প্রণালী দিয়ে বিপুল পরিমাণে তেল আমদানি করে।’
আরও পড়ুন: প্রতিশোধ কতটা তীব্র হবে ঠিক করবে সশস্ত্র বাহিনী: জাতিসংঘে ইরান
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইরান এমনটা করে, তাহলে সেটা হবে আরেকটি ভয়ানক ভুল। এটি তাদের জন্য অর্থনৈতিক আত্মহত্যার শামিল হবে।’
এই পথ বন্ধ হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে, তেলের দাম বেড়ে যাবে এবং চীন, ভারত ও জাপানের মতো বড় আমদানিকারক দেশগুলো চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন: হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বাড়বে জ্বালানির দাম, প্রভাব পড়বে দেশেও
বিশ্লেষকরা বলছেন, হরমুজ প্রণালী বন্ধের ক্ষমতা মূলত ইরানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর হাতে, পার্লামেন্টের হাতে নয়। তাছাড়া, ইরানের নিজের তেল রফতানিও এই পথের ওপর নির্ভরশীল, তাই এটি বন্ধ করা ইরানের জন্যই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিশোধ হতে পারে।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে ইরান-ইরাক সংঘাতের সময়, উভয় দেশই উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল যা ট্যাঙ্কার যুদ্ধ নামে পরিচিত, কিন্তু হরমুজ কখনোই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল না।