নিহত সানাউল্লাহ বাদশা জাঙ্গীর এলাকার মোকাররমের ছেলে। তিনি ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মুকুল মিয়ার স্ত্রী শামীমার সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল একই এলাকার সানাউল্লাহ বাদশার সাথে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশী বৈঠক হলেও এর কোনো সমাধান হয়নি।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মা-মেয়ে দগ্ধ
নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সানাউল্লাহ বাদশা মুকুলের বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মুকুল ও তার স্ত্রী ধারালো অস্ত্র দিয়ে সানাউল্লাহ বাদশার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে আহত বাদশার চিৎকার আশপাশের লোকজন এসেমুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।এসময় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কান্নায় বিলাপ করেন নিহত সানাউউলা বাদশার মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও নিকট আত্মীয়-স্বজনরা।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় নকশাবহির্ভূত পাঁচ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ ও জরিমানা
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আমরা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের তদন্ত কাজ চলছে। এই হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতারে আমাদের পুলিশের একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করছে। আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত মুকুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।’
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
]]>