পরকীয়া জেনে যাওয়ায় স্বামীকে খুন, স্ত্রীর প্রেমিকের যাবজ্জীবন

১ সপ্তাহে আগে
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার সাতবাড়ীয়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর কুদ্দুস আলী মণ্ডল (৪২) হত্যা মামলায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক মো. রিয়াজুল সেখ ওরফে তোজামকে (৫২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় দেন।


একই সঙ্গে এ মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি নিহত কুদ্দুসের স্ত্রী বন্যা খাতুন (৪০) ও প্রতিবেশী আলাউদ্দিন সেখের (৭০) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের দুজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত।


মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুদ্দুস বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে পানি ও মালামাল সরবরাহ করতেন। ২০১৩ সালে ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯ টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর ওইদিন আর বাড়ি ফিরে না আসায় কুদ্দুসের মাসহ অন্যরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে একইদিন রাত ২ টার দিকে পাংশার যশাই ইউনিয়নের ধোপাকেল্লা গ্রামের ফাঁকা মাঠের মধ্যে তার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখে পরিবারের সদস্যরা এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে নিশ্চিত হন।

আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে হত্যা মামলায় ২৩ জনের যাবজ্জীবন

এ ঘটনায় কুদ্দুসের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এতে কুদ্দুসের স্ত্রী বন্যা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক মো. রেজাউল সেখ ওরফে রিয়াজুল সেখ তোজাম জড়িত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।


দীর্ঘ তদন্ত শেষে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে কুদ্দুসের স্ত্রী বন্যা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক মো. রেজাউল সেখ ওরফে রিয়াজুল সেখ তোজাম এবং প্রতিবেশী আলাউদ্দিন সেখকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।


আদালত এ মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ মামলায় সাক্ষীদের বক্তব্য ও হত্যাকাণ্ডের পারিপার্শ্বিক ঘটনায় এর সঙ্গে রিয়াজুল সেখ তোজামের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তোজামকে সাজা প্রদান করেন। আর দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় কুদ্দুসের স্ত্রী বন্যা খাতুন ও প্রতিবেশী আলাউদ্দিন সেখকে বেকসুর খালাস দেন। 


রায় ঘোষণার সময় আসামি ৩ জনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, দুজনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক (২) বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে খুশি। 


আসামি পক্ষের  আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তফা কবির বলেন, ‘আমরা রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন