পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, পালিয়েছে স্বামী

২ সপ্তাহ আগে
মাদারীপুরের শিবচরে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্মৃতি মণ্ডল (৩৭) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পালিয়েছে অভিযুক্ত ঋণয় গিরি।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে। 


নিহত স্মৃতি মণ্ডল শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের চর কমলাপুর গ্রামের বৃন্দাবন মণ্ডলের মেয়ে। আর অভিযুক্ত ঋণয় গিরি (৪০) একই উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জিতেন গিরি’র ছেলে। নিহত স্মৃতির ১৫ বছরের এক মেয়ে ও ১০ বছরের এক ছেলে রয়েছে।


স্বজনরা জানায়, ২০ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের কারণে মাদারীপুরের শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের চর কমলাপুর গ্রামের বৃন্দাবন মণ্ডলের মেয়ে স্মৃতি মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জিতেন গিরি’র ছেলে ঋণয় গিরির। বিয়ের পর খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে স্মৃতিকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ঋণয়ের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশি হলেও কোন সমাধান করতে পারেননি মুরব্বিরা।


আরও পড়ুন: গৃহবধূকে ঘরে আটকে নির্যাতন, উদ্ধার করলো পুলিশ


এরপর ৪ বছর ধরে এক ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী দিপুমনির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে ঋণয়। বিষয়টিতে প্রতিবাদ করলে স্মৃতির ওপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। ঋণয়ের পরিবারের কাছে বিচার দিলে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। শেষমেষ রোববার রাতে স্মৃতিকে পিটিয়ে হত্যার করা হয়। এরপর গৃহবধূর মরদেহ ঘরের ভেতর ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ঋণয়। খবর পেয়ে সোমবার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনার বিচার বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।


নিহত স্মৃতির বড়বোন ইতি মণ্ডল বলেন, আমার বোনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। ঋণয় অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদ করাই আমার বোনকে হত্যা করেছে, এর বিচার চাই।


স্মৃতির কয়েকজন স্বজন জানান, পরকীয়ায় বাধা দেয়াই হত্যা করা হয়েছে স্মৃতিকে। এর আগেও একাধিকবার স্মৃতি মারধর করেছে ঋণয়। বিষয়টি নিয়ে ঋণয়ের পরিবারের কাছে বিচার দিলেও কোন সুরহা হয়নি। আগে থেকে ঋণয়কে সাবধান করা হলে সে এমন হত্যাকাণ্ডের সাহস পেতো না। আমরা ঋণয়’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।


মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ভাস্কর সাহা বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন